ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের জানাজা সম্পন্ন, শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৯ পিএম, ১২ জুন ২০২২ রবিবার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণকালে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১২ জুন) বিকেল ৩টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজা অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, উপ-সচিব জাহিদুল ইসলাম, মরহুমের পরিবারের সদস্যরা এবং ফায়ার সার্ভিসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে জানাজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহীদ ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। 

এরপর তিনি শহীদ গাউসুল আজমের উদ্দেশে সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন পর্বে অংশগ্রহণ করেন।

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান সংক্ষেপে বক্তব্য দেন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে মরহুমের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। 

নামাজে জানাজা শেষে সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ৯ জন ফায়ার ফাইটারসহ নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, শহীদ ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের মরদেহ গ্রামের বাড়ি যশোরের মনিরামপুরে সমাহিত করা হবে। 

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের তথ্যানুযায়ী, ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম ১৯৯৯ সালের ২২ জুন সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। 

তার বাবার নাম আজগর আলী এবং মায়ের নাম আসিয়া বেগম। গাউসুল আজম ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অগ্নিসেনা হিসেবে যোগদান করেন। সবশেষ তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

গত ৪ জুন দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিনির্বাপণকালে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সিএমএইচে এবং পরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ১২ জুন ভোর রাত ৩টায় তিনি সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার ৫ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাবা-মায়ের ২ ছেলে-মেয়ের মধ্যে গাউসুল আজম ছিলেন কনিষ্ঠ।

উল্লেখ্য, শহিদ ফায়ারফাইটার গাউসুল আজমের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার মাগুরার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখানে তাঁর মরদেহ চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। 

ফায়ারফাইটার গাউসুল আজম-এর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত

ফায়ারফাইটার গাউসুল আজম ১৯৯৯ সালের ২২ জুন সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আজগর আলী এবং মায়ের নাম আসিয়া বেগম। গাউসুল আজম ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অগ্নিসেনা হিসেবে যোগদান করেন। কর্মজীবনের প্রতিটি সময় তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। 
কেআই//