গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী-শ্বশুরসহ আটক ৩
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার
নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের ফাতেমা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওইদিন বিকালেই পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান (২৯), তার পিতা আকবর আলী (৬৫) ও মাতা জুলেখা বেগম (৫৫)কে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে উপজেলার শাহাপুকুর দিঘীরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূর স্বামী বিগত চার বছর ধরে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এসময় ফাতেমা খাতুন ৮ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই কোনভাবে দিন যাপন করে আসছিলেন। মোস্তাফিজুর ঢাকায় অবস্থান করলেও সে স্ত্রী-সন্তানের কোন ভরনপোষণ দিতেন না।
তিনি আরও জানান, হঠাৎ করে রোববার সকাল ৮টার দিকে সে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। ওইদিন দুপুরের দিকে শয়ন ঘরে স্বামী-স্ত্রীর কথা-বার্তার একপর্যায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ মোস্তাফিজুর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া গেছে।
পরে নিহত গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের খুঁটির সাথে ঝুলে রেখে ফাতেমা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর পিতা রবিউল ইসলামের অভিযোগ, মোস্তাফিজুর ঢাকায় থাকলেও মেয়ে-নাতীদের কোন খরচ দিতেন না। তবে ফাতেমার শ্বশুর-শাশুড়ী কোনভাবে সংসার চালাতো। সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে মেয়ে আমাদের কাছে আসতে চাইতো না। বাড়ি থেকে জঞ্জাল সরানোর জন্য মোস্তাফিজুর আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছে তাতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে না। গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। একারণেই মোস্তাফিজুরসহ তাদের ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এএইচ