ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

পাহাড় ধস: ঝুঁকি বেড়েছে সচেতনতা নয় (ভিডিও)

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার

রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের পাঁচ বছর পূর্তি আজ। ভয়াবহ সেই ঘটনায় ১২০ জনের মৃত্যুর ক্ষতচিহ্ন মোছেনি আজও। প্রতিবছর বর্ষার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাড়ি ঘর তৈরি ও বসবাসে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ সাইনবোর্ড স্থাপন ও সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করে আসছে প্রশাসন। তারপরও শহর ও উপজেলাগুলোতে পাহাড়ের নিচে মৃত্যুঝুঁকিতে বসবাস করছেন মানুষ।

২০১৭ সালের ১৩ জুন প্রবল বৃষ্টিতে শহরের ভেদভেদীর যুব উন্নয়ন বোর্ড, মুসলিমপাড়া. শিমুলতলী, রূপনগর, সাপছড়ি, মগবান ও বালুখালী এবং জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী ও বিলাইছড়ি উপজেলা এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনাটি ঘটে। মাটিচাপায় পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। 

প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারাদেশের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগযোগ বন্ধ থাকে এক সপ্তাহ। বিচ্ছিন্ন ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহও। তিনমাসেরও বেশি সময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয় ক্ষতিগ্রস্তদের। 

অথচ গেল পাঁচ বছরে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সংখ্যা আরও বেড়েছে।

তারা জানান, “এখন তো সিস্টেম করে ঘর বানিয়েছি। সিস্টেম করেই আমরা থাকি। যেদিকটা ঝুঁকিপূর্ণ সেদিকে থালা-বাটি পিছিয়ে রাখি। তখনও ভালছিলাম এখনও আমরা ভাল আছি।”

এলাকাবাসীরা জানান, “রাঙ্গামাটি বলতেই অনিরাপত্তা। ১২০-৩০টি পরিবার আছি, সবাই দুঃখে-সুখে ভাল আছি।”

তবে প্রশাসন বলছে, পাহাড়ধসের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে এবারও তাদের রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “এখন যেহেতু প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাই বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় মাইকিং করা হচ্ছে। যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারে। খুব বেগ পেতে হয় মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে। রাতেও গিয়েছি মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য, তাদের মধ্যে সচেতনতা আরও দরকার।”

তবে প্রাণহানি রোধে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি পাহাড়ের নিচের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনও প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এএইচ