ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শুধু শিল্পীর স্ত্রী নয়, শিল্পীর স্বামী হওয়াও কঠিন: জয়া

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার

মুক্তির অপেক্ষায় সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’। জীবনানন্দ দাশের জীবন নিয়ে ছবি ‘ঝরা পালক।’ কবির স্ত্রী লাবণ্যপ্রভা দাসের চরিত্রে জয়া আহসান।  টালিউডের এই ছবির প্রচারে ঝটিকা সফরে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন জয়া আহসান।

হুবহু তুলে ধরা হল সেই সাক্ষাৎকার।  

প্রশ্ন: জয়া আহসান ফিশ ফিঙ্গার, চিনি দেওয়া কফি খান?

জয়া: হ্যাঁ, ভীষণ খাই। আসলে সবই খাই। মিষ্টি খেতে খুব ভাল লাগে আমার। তাই আমার থেকে সবাই মিষ্টি লুকিয়ে রাখে।

প্রশ্ন: আপনার ইনস্টাগ্রামে নানা রকমের খাবারের ছবি দেখা যায়, এই যেমন ‘চাকমা’ কুইজ্যিন।

জয়া: হ্যাঁ, মা এবং পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে একটা গ্রাম আছে। ওখানে এই ধরনের খাবার পাওয়া যায়। অসাধারণ খেতে। স্বাস্থ্যোপযোগীও। আমার ইনস্টাগ্রামের অনুরাগীরা তো মন্তব্য করে দিদি আপনি কত খান!

প্রশ্ন: ইনস্টাগ্রামের পোস্টে মন্তব্যগুলো পড়েন?

জয়া: হ্যাঁ পড়ি। তবে সব নয়। সব যে ভাল লেখা থাকে, তা নয়। কিন্তু অনেকেই ভাল ভাল কথা লেখেন। কিছু নেতিবাচক মন্তব্য তো থাকেই।

প্রশ্ন: নেটমাধ্যমে মন্তব্য করে বিতর্কের জালে রূপঙ্কর বাগচি। আপনার প্রতিক্রিয়া?

জয়া: মানুষ এখন বড় অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। তবে মনেহয় এ সব সামাল দেওয়ার উপায় এত দিনে শিল্পীরা রপ্ত করে ফেলেছেন। কারণ নিজের কাজটা তো করে যেতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে কথা বলা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মানুষ তো মানুষের কথা বলবেই। তার মধ্যে থেকে আমাদের ঠিকটা বেছে নিতে হবে।

প্রশ্ন: কত দিন পর আবার কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে ছবি?

জয়া: শেষ মুক্তি পেয়েছিল ‘বিনিসুতোয়’। তাও অনেক দিন হল। তার পর এই সায়ন্তনের ‘ঝরা পালক’।

প্রশ্ন: জীবনানন্দ দাশ বিরাট এক জন ব্যক্তিত্ব, আপনি আবার কবির স্ত্রী...

জয়া: হ্যাঁ, কবিপত্নী হওয়া বেশ কঠিন। তাও আবার ওর মতো কবি। একটু টেনশনই হয়েছিল। ব্রাত্যদা বড় মাপের অভিনেতা। নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি লাবণ্যপ্রভা হয়ে ওঠার।

প্রশ্ন: শিল্পীর স্ত্রী হওয়া তো কঠিন, শিল্পীর স্বামী হওয়াটা কি ততটাই কঠিন?

জয়া: (হেসে) আমার তো স্বামী নেই, কী করে বলি! তবে এটা মনেকরি, স্বামী বা স্ত্রী নয় ‘পার্টনার’ হওয়াটা সত্যিই কঠিন। শিল্পীদের জীবনে কত রকমের ওঠাপড়া, ঝড় থাকে, সেগুলোকে সামাল দিতে একটা শক্ত হাতের প্রয়োজন।

প্রশ্ন: দুই বাংলাতেই সমান তালে অভিনয় করছেন। কলকাতায় এখন বেশ উত্তপ্ত আবহাওয়া। কিছু বলবেন?

জয়া: বিশেষ কিছু বলতে চাই না। যারা নেতিবাচকতা ছড়ান, তাদের কাজ এটা। তারা এগুলো করে যাবেন। শিল্পীদের কাজ হল শিল্পের মাধ্যমে সবাইকে সংঘবদ্ধ করা। দু-চার জনের কারণে সবাইকে বিচার করব না। বরং নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলাই ভাল।

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এসবি/