ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাংলাদেশের ই-কমার্স এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নের সম্ভাবনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৪:২৫ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার

সৈয়দা আম্বারীন রেজা।

সৈয়দা আম্বারীন রেজা।

আমি দশ বছর ধরে দেশের ই-কমার্স সেক্টরে কাজ করছি। আমার হাত ধরে বাংলাদেশে ফুডপান্ডার মতো গ্লোবাল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফুডপান্ডার আগে আমার হাত ধরেই লামুডি এবং কারমুডির মতো প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছিল বাংলাদেশে ই-কমার্সের সূচনালগ্নে- কথাগুলো বলছিলেন ফুডপান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা।

১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ইক্যাবের ২০২২-২৪ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনের ভোট। এই নির্বাচনে ‘অগ্রগামী’ প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন সৈয়দা আম্বারীন রেজা।

তিনি বলেন, ই-ক্যাব বাংলাদেশের ইকমার্স উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আজ জায়গা করে নিয়েছে। অনেক ভালো কাজ করার জন্যই ইক্যাব আজকের জায়গায় এসেছে। এ সংগঠনটির কারণে ইকমার্স দ্রুত অনেক বড় একটি ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। এর পেছনে অনেক মানুষের অবদান রয়েছে। ফলে এবারের নির্বাচন নিয়ে উদ্যোক্তাদের মাঝে অনেক প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন। যে নেতৃত্ব দেশের ইকমার্সের অগ্রগতি অব্যাহত রাখবে। যারা কঠিন সময়েও আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াবেন। 

সবার জন্য কিছু করার প্রত্যাশা করে বলেন, দেশে-বিদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা, স্টার্টআপ স্কেলিং, প্রডাক্ট ডেভলপমেন্ট, মার্কেটপ্লেস অপারেশন, স্টার্টআপের ইনভেস্টমেন্ট রেডিনেস ও বিনিয়োগ সংগ্রহ এই বিষয়গুলোতে আমি দক্ষ। এ অভিজ্ঞতার আলোকে ইকমার্স সেক্টর নিয়ে আমি আমার জায়গা থেকে কিছু করতে চাই। আশা করি, সবাইকে সাথে নিয়ে ‘অগ্রগামী’র অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদস্যদের প্রত্যাশিত কাজগুলো করতে পারবো। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেস্টুরেন্ট খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ডিজিটাল রুপায়নে কাজ করছি। তাদের ব্যবসাকে অফলাইন থেকে অনলাইনে এনে ক্রেতাদের সাথে কানেক্ট করে দিচ্ছি। ফুডপান্ডা এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ব্যবসার ডিজিটাল রুপান্তর করেছে। এছাড়া আমরা গত কয়েক বছরে ১ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। ফুডপ্যান্ডার পাশাপাশি আমি বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিবিষয়ক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছি। বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি। 

তার মতে, ই-কমার্স সেক্টর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। সামনে আরও নতুন কিছু করার ইচ্ছা আছে। নির্বাচিত হলে এ কাজগুলো করা আরও সহজ হবে। ইক্যাব থেকে একটা স্টার্টআপ সেন্টার চালুর ইচ্ছা আছে। যেটা মূলত তরুণ উদ্যোক্তাদের মেন্টরশিপের কাজ করবে। দেশের স্টার্টআপগুলোর গ্লোবাল কানেক্টিভিটি বাড়ানো, ইনভেস্টরদের সাথে সংযোগ তৈরি করা, বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরও দক্ষ করা এগুলো হবে সেই স্টার্টআপ সেন্টারের কাজ। এককথায়, একটা স্টার্টআপকে গ্লোবালি এগিয়ে নিতে সবধরণের সহায়তা ও মেন্টরশিপের ব্যবস্থা করা। 

দেশের ই-কমার্স সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। এ খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সেক্টরের ভালো বাজার তৈরি হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। আমাদের শুধু সঠিকভাবে সঠিক কাজটি করে এগিয়ে যেতে হবে। 

আম্বারীন রেজা বলেন, অগ্রগামী প্যানেলে অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন। ইক্যাবকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসতে শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমালসহ যারা আছেন, তারা অনেক কাজ করেছেন। অনেকেই আছেন যারা ইক্যাবের একেবারে শুরু থেকেই আছেন। তারা সবাই করোনায় উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। আবার আমার মতো ইন্ড্রাস্টির কয়েকজন উদ্যোক্তাও আছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে এ খাতে কাজ করছেন। সবমিলিয়ে অগ্রগামী সংগঠন চালানোয় অভিজ্ঞ ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স এর মিশেলে তৈরী একটা প্যানেল।

তিনি বলেন, ই-ক্যাব এগিয়ে যাক এটা আমাদের সবার চাওয়া। ভোটারদের প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকবে, তারা অভিজ্ঞদের মূল্যায়ন করবেন আবার উদ্যমী উদ্যোক্তারাও যাতে ইক্যাবে অবদান রাখতে পারেন সেটাও খেয়াল রাখবেন। সরকারসহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অভিজ্ঞদের অভিজ্ঞতা এবং নতুন আইডিয়ার সমন্বয়ে আমরা দারুণভাবে এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

এসি