বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সফলভাবে সম্পৃক্ত হতে চায়: সালমান এফ রহমান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪২ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪৩ পিএম, ১৩ জুন ২০২২ সোমবার
সালমান এফ রহমান
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এতে সফলভাবে সম্পৃক্ত হতে সরকারের নানা পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি। সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে স্যামস্যাং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করতে এসে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
সালমান এফ রহমান মনে করেন, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স নিয়ে কাজ করতে হলে প্রথমে আমাদের কোডিং এর ভাষা শিখতে হবে। এই জন্য আমরা প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কোডিং এর ধারণা দেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছি যা পরবর্তীতে তাদেরকে দক্ষ প্রোগ্রামার হতে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে দেশের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করেছি। আমরা এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ‘ এ সকল কাজে কোরিয়া সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে আসছে।
স্যামস্যাং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলীরা দক্ষতার সাথে কাজ করছে জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং স্যামস্যাংকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান, এমপি। সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সেন্টারে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনামের সহিত কাজ করছে বাংলাদেশি তরুণ প্রকৌশলীরা। বাংলাদেশে অবস্থিত স্যামস্যাং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে আরও বেশি সংখ্যক তরুণকে এই সেন্টারে কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
এই সময়, বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেন, বিশ্বের ১৪টি দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারটি চালু করা হয়েছে স্যামস্যাং গ্রুপের উদ্যেগে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সহায়তায়। এখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের রিসার্সার্চারদের কাজে সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও রাষ্টৃদূত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত মনে করেন, বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতায় আরও কোরিয়ান কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে এবং সেখানে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজের সুযোগ পাবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত স্যামস্যাং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেন এবং গবেষণা কার্যক্রম পযবেক্ষণ করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের প্রথম সচিব মি. ইয়ংমিন সি, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (KOTRA)’র মহাপরিচালক মি. ডংহিউন কিম, স্যামস্যাং রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. উনমো কু ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার একান্ত সচিব(যুগ্মসচিব) জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।
কেআই//