আইপিএলের সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি হল ৪৪ হাজার কোটিতে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৫৪ এএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
আইপিএলের টিভি ও ডিজিটাল সত্ত্ব রেকর্ড ৪৪ হাজার কোটি টাকায় বিক্রি করলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই সত্ত্ব দিয়েছে বোর্ড।
বোর্ডের আশা ছিল, তারা সত্ত্ব বিক্রি করে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাবে। তার থেকে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো কম পেল তারা। আগামী পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টিভি ও ডিজিটাল সত্ত্ব ৪৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি করলো বোর্ড।
বিশ্বের ক্রিকেট বোর্ডগুলির মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সবচেয়ে ধনী। যে বিপুল পরিমাণ অর্থে তারা আইপিএলের এই সত্ত্ব বিক্রি করেছে, তাতে তাদের সম্পদের পরিমাণ আরো বাড়বে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত টিভি এবং মোবাইলসহ ডিজিটাল মাধ্যমে দেখানোর জন্য সত্ত্ব কাদের বিক্রি করা হলো তা বোর্ড জানায়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, টিভিতে আইপিএল দেখানোর সত্ত্ব কিনেছে ডিজনি স্টার। টিভির সত্ত্ব বিক্রি হয়েছে ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকায়।
ডিজিটাল সত্ত্ব বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়। বোর্ড না জানালেও বলা হচ্ছে, এই সত্ত্ব কিনেছে ভায়াকম ১৮। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আইপিএলের একটি ম্যাচ দেখানোর জন্য বোর্ডকে দিতে হচ্ছে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর ডিজিটালের ক্ষেত্রে ৪৮ কোটি টাকা। ফলে আইপিএলের একটি ম্যাচ টিভি ও ডিজিটালে দেখানোর সত্ত্ব বেচে বোর্ড পাচ্ছে ১০৫ কোটি টাকা।
এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আইপিএল। প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচ দেখানোর সত্ত্ব বেচে পাওয়া যায় ৮৯ কোটি টাকা। একমাত্র অ্যামেরিকার এনএফএল আগে আছে। তারা একটি রাগবি ম্যাচ দেখিয়ে পায় ২৭৪ কোটি টাকা।
ক্রিকেট হাতে গোনা কয়েকটি দেশ খেললেও ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের সিংহভাগের কাছে প্রধান আকর্ষণ ক্রিকেট। তার উপর টি-টোয়েন্টি মানে তো শুধু ক্রিকেট নয়, বিনোদনের সম্পূর্ণ প্যাকেজ। ফলে ভারতে স্টেডিয়াম ভর্তি থাকে। আইপিএলের ম্যাচ দেখতে টিভির সামনে সেঁটে বসে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ।
ঘটনা হলো, প্রতিবারই আইপিএলের সত্ত্ব বেচে বোর্ডের আয় বাড়ছে। ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আইপিএলের সত্ত্ব কিনেছিল সোনি, আট হাজার দুইশ কোটি টাকায়। এরপর ২০১৮ থেকে ২২ পর্যন্ত এই সত্ত্ব কেনে ডিজনি স্টার, ১৬ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকায়। এবার সেই সত্ত্ব বিক্রি হলো প্রায় ১৩৮ শতাংশ বেশি দামে। এমনই আইপিএলের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা।
এসবি/