রাহুল গান্ধীকে দ্বিতীয় দিনেও জিজ্ঞাসাবাদ, বিক্ষোভ-ধরপাকড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
রাহুল গান্ধী
ন্যাশনাল হেরাল্ড নিউজপেপার সংশ্লিষ্ট এক অর্থপাচার মামলায় মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একটি বিশাল ভিড় জমায়েত হয় দিল্লিস্থ ইডি অফিসের সামনে। বিক্ষোভ হয়েছে দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে এবং আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন নেতাকে।
সোমবার ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার আবারও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের উত্তর দিতে ইডি-র দফতরে পৌঁছান রাহুল গান্ধী।
এদিন সকাল সোয়া ১১টার দিকে ইডি-র কার্যালয়ে ঢোকেন এই কংগ্রেস নেতা। এসময় ইডি দফতরের বাইরে নেতাকর্মীদের বিশাল ভিড় জমায়েত হলে অধীর চৌধুরী, গৌরব গগোই, কেসি বেণুগোপাল, দীপেন্দ্র হুদাসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় এই সংস্থাটির সামনে প্রথমবার উপস্থিত হন রাহুল গান্ধী। এদিনও কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের একটি বিশাল ভিড় জমায়েত হয় দিল্লির ইডি অফিসের সামনে।
এছাড়াও দিল্লিসহ দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের রাজধানীতে কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী রাস্তায় নামেন এবং বেশ কয়েকজন বরিষ্ঠ নেতাকে আটক করা হয়। তাদের অভিযোগ, রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধীকে মিথ্যা মামলায় তলব করা হয়েছে এবং তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ইডির দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে সংস্থাটি কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সোমবার আকবর রোডে এআইসিসি অফিস থেকে দুই কিলোমিটার দূরের ইডি অফিসে দলীয় নেতা ও কর্মীদের মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লির আকবর রোডে পার্টির সদর দফতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এর আগে পুলিশ তাদের প্রতিবাদ মিছিল করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কংগ্রেস তাদের পার্টি অফিসে মিছিল ও প্রতিবাদ করা হবে বলে অনুমতি নেয়। কিন্তু সোমবার বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে ইডি অফিসে পৌঁছে যায়। এরপরেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই কারণেই পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে। সূত্র- এনডিটিভি।
এনএস//