বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৫ জুন ২০২২ বুধবার
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র, দীর্ঘদিনের মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ১৫ জুন (বুধবার)।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে কামরান ২০২০ সালের ১৫ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তিনি আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রয়াত জননেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মানিক পীর (রাহ.) নাগরিক গোরস্তানে মরহুমের কবর জিয়ারত। মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন।
উক্ত কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৪ জুন অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ ও রাতে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল। ১৫ জুন খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বেলা সাড়ে ১১টায় ছড়ারপাড়সহ বাড়িতে বিশেষ দোয়া এবং বিভন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় শিরনী বিতরণ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দীর্ঘ সময়কার মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তিনি ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। সিলেটের জনগণ বারবার তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে শহর, নগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন দীর্ঘদিন।
সিলেট পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয় ২০০২ সালের ২৮ জুলাই। বিলুপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে নবগঠিত সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র করা হয়। এরপর ২০০৩ সালের ২০ মার্চের নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে তৎকালীন সরকারি দল বিএনপির প্রার্থী এমএ হককে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সিলেটের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৭৩ সালে সিলেট পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন কামরান।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জেলে থেকেও কামরান বিএনপির প্রার্থী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম এ হককে ফের পরাজিত করে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে যান তিনি। এরপর ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও আরিফের কাছে হেরে যান কামরান। কিন্তু এরপরও তিনি নগরবাসীর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি। এ নগরের মানুষের সুখে-দুঃখে তিনি পাশে ছিলেন।
ষাটের দশকে ছাত্রলীগে যোগ দেওয়া এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন কামরান।
এসএ/