জাতীয় ফল মেলা শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ১৬ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’। ১৬ জুন শুরু হয়ে এ মেলা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। এ বছর জাতীয় ফল মেলার প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।
জাতীয় ফল মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশে প্রতি বছর ফলের উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারায় অষ্টম এবং পেঁপে উৎপাদনে চতুর্দশতম স্থানে রয়েছে। বাজারে বছরব্যাপী মৌসুমি ফলের সরবরাহ জাতীয়ভাবে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের চিরাচরিত খাদ্যাভ্যাস বদলে যাচ্ছে। দানাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে ফল, শাকসবজি গ্রহণের আগ্রহ বাড়ছে অনেকের মাঝে। আমি আশা করি, এই ইতিবাচক পরিবর্তন চলমান রাখতে এবং দেশে উৎপাদিত ফল সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সম্যক ধারণা দিতে ‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।”
তিনি বেশি করে ফলদ বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অপর এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মানবদেহের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সহজলভ্য ও প্রাকৃতিক উৎস হলো ফল। আমাদের মাটি ও জলবায়ু বিভিন্ন রকমের ফল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশ দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদনেও এসেছে ব্যাপক সাফল্য।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “‘জাতীয় ফল মেলা ২০২২’ নতুন প্রজন্মকে বৈচিত্রময় ফল সম্পর্কে ধারণা প্রদানসহ ফলদ বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগনফল, এভোকেডো, মিষ্টি তেঁতুল ইত্যাদি বিদেশি ফলের আবাদ বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ নিতে হবে।”
গত ২ বছর করোনা মহামারীর কারণে জাতীয় ফলমেলা করা সম্ভব হয়নি। ফলে এবারের মেলার প্রতি মানুষের বেশ আকর্ষণ রয়েছে। মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই কৃষি মন্ত্রণালয় এ বছর ফল মেলার আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে সকালে খামার বাড়ি থেকে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এই মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন দেশি ফলের প্রদর্শনীর মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
এসএ/