ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

উইঘুরদের ওপর চীনা ‘অত্যাচার’ নিয়ে সরব ৪৭ দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১৬ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

ক্যাম্পে আটকে থাকা উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের একটি চিত্র

ক্যাম্পে আটকে থাকা উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের একটি চিত্র

চীনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত জিননিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর যে ‘অত্যাচার’ চলছে, কড়া ভাষায় তার নিন্দা জানালো ৪৭টি দেশ। এই নিয়ে জাতিসংঘে রিপোর্ট পেশের দাবিও জানায় দেশগুলো। 

জানা গেছে, চিনা প্রদেশ জিননিয়াংয়ে অত্যাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার রিপোর্ট পেশ দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বিত ছিল। সেই রিপোর্ট পেশেরই দাবি তুলেছে উক্ত ৪৭টি দেশ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে নিযুক্ত ডাচ দূত পল বেকার এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ 

তিনি জানান, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটক করে রাখা হয়েছে জিনজিয়াংয়ে।

এদিকে চিনের তরফে জিনজিয়াং প্রদেশে ‘ক্যাম্প’ থাকার কথা স্বীকার করা হলেও বেজিংয়ের দাবি, সেগুলো ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের জন্য স্থাপিত এবং কট্টরপন্থাকে দূরে রাখতে এই ক্যাম্পের প্রয়োজন আছে। 

এই আবহে ৪৭টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ, যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম, শিশুদের তাদের মা-বাবার থেকে জোরপূর্বক আলাদা করার মতো ঘটনা বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে জিনজিয়াং থেকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে নিযুক্ত ডাচ দূত পল বেকার

জিনজিয়াংয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পল বেকারের দাবি, মুসলিম উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটকে রাখার এই বিষয়টি চীনকে বন্ধ করতে হবে। 

এই ৪৭টি দেশের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, যাতে জাতিসংঘের তদন্তকারীদের জিনজিয়াংয়ে প্রবেশের অবাধ অনুমতি দেয়া হয়। 

এর আগে গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট চীন সফর করেন। এই সফরের আগে বিগত ১৭ বছরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কেউই চীন সফর করেননি। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//