ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী শাহ জামাল বাঁচতে চায়

ঢাকা কলেজ সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ১৭ জুন ২০২২ শুক্রবার

ঢাকা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. শাহ জামাল। গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। 

পরীক্ষা করে জানা যায়, তার ২টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই প্রতি সপ্তাহে শাহ জামালের দুইবার করে ডায়ালাইসিস করতে হয়। তাছাড়া আগামী ২৬ জুনের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তার জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হবে। 

শাহ জামাল জানিয়েছেন, তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫-৭ লাখ টাকার প্রয়োজন, যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা একেবারেই সম্ভব নয়। 

শাহ জামাল দিনাজপুর জেলার বিরল থানার দৈকতবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস বাসেদ সরকারের ছেলে। তার বাবা মায়ের ৪ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ মোট ১০ সন্তানের সর্ব কনিষ্ঠতম সন্তান তিনি। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে তাকে জীবন পার করতে হয়েছে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে পরিবারের আশা পূরণ করবে বলে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু গত ৪ নভেম্বর কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার সেই স্বপ্ন এখন ফিকে হওয়ার পথে। 

তাছাড়া ডায়ালাইসিসসহ অন্যন্য খরচ চালাতে গিয়ে তার ভিটে বাড়িসহ সর্বস্ব হারাতে হয়। মায়ের যা কিছু ছিল তা দিয়ে এতো দিন চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু এখন যদি তার একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা না হয়, তাহলে হয়তো শাহ জামালকে বাঁচানো কষ্টকর হয়ে যাবে।

আকাশসম স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা কলেজে। টিউশনি করে নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়ার খরচ জোগাতেন। প্রথম শেণীতে অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে হাল ধরবেন পরিবারের, পরিবার দেখবে সুখের মুখ- এমনটাই আশা ছিল তার মায়ের। 

কিন্তু কিডনি নামক মরণব্যাধি তার স্বপ্নের আকাশে ঘন মেঘ হয়ে বাসা বেঁধেছে। কিডনিজনিত মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শাহ জামালের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে এখন সেন্টার ফর কিডনি ডায়ালাইসিস এন্ড ইউরোলজি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

মো. শাহ জামাল বলেন, আমার অনেক স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে আমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাব। কারণ আমার মা আমাকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। বড় পরিবারে সন্তান হওয়ায় ভাইয়েরা বিয়ে করে তাদের নিজের মতো জীবন চালাতে লাগলো। মা ছাড়া আমার পাশে তেমন কাউকে পাইনি। আর আমার চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে মাকে তার সর্বস্ব হারাতে হয়েছে। এখন কিডনি প্রতিস্থাপনের অপারেশন করার মতো টাকা আমাদের কাছে নেই। তাই সবাই যদি আমার জন্য একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করে মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।

শাহ জামালের বন্ধুরা বলেন, "আমরা বিভিন্ন মাধ্যম হতে তার চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করছি। কিন্তু তাতে হয়তো তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা ও কিডনি প্রতিস্থাপনের অপারেশন করা সম্ভব হবে না। তাই সকলকে শাহ জামালের জীবন বাঁচাতে এবং তার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।" 

শাহ জামালকে আর্থিক সাহায্য দেয়ার মাধ্যমে জীবনের এই কঠিন সময়টাকে পার করে তাকে আবার সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনতে আপনারাও তার পাশে দাঁড়াতে পারেন।

সহায়তার টাকা পাঠাতে পারেন শাহ জামালের নিম্নোক্ত একাউন্টগুলোতে-
রকেট ও নগদ: ০১৭৭৩-১৭০০২৭
বিকাশ: ১৯৪০-০৭১৮৭৯ (পার্সোনাল)

এনএস//