সিলেটে এখনো বাড়ছে নদনদীর পানি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ১৯ জুন ২০২২ রবিবার
সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও বাড়ছে। তবে, বৃষ্টি কমায় কিছু কিছু এলাকায় পানি কমছে।
দুর্গত এলাকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বন্যার বিস্তৃতিও বাড়ছে। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, সিলেটে ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
এদিকে, লোকজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে প্রায় এক লাখ মানুষ। চলছে ত্রাণ তৎপরতা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সিলেটে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৩৮ মিলিমিটার বেড়েছে। সিলেট পয়েন্টে কিছুটা কমেছে।
তবে, কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বেড়েছে ৩০ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে বেড়েছে ১২ সেন্টিমিটার। কানাইঘাটে ১৪৬ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৬৬, অমলশিদে ১৬৬, শেওলায় ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বন্যায় মারা গেছেন দুজন।
রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, সিলেটের ৬০ এবং সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। এদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। সবশেষ খবর অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ৩২, নৌবাহিনীর ১২ এবং ফায়ার সার্ভিসের চারটি বোট কাজ করছে দু-জায়গায়। এরই মধ্যে তারা এক লাখ মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে সুনামগঞ্জে ৭৫ হাজার, আর সিলেটে ৩০ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে। নিখোঁজের কোনো তথ্য এখনও আমরা পাইনি। গতকালের পর থেকে কোনো ক্যাজুয়ালটিও হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে পড়ে আছে। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হয়েছে, কিন্তু সুনামগঞ্জে পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত আছে। একই সঙ্গে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এসি