তরুণীকে গলা কেটে হত্যা, পরকিয়া প্রেমিক গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১৯ জুন ২০২২ রবিবার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর জান্নাতুল ফেরদাউস পাখি (৩২) এর হত্যাকারী শাহাদাত হোসেন জীবনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা ও নিহতের মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এর আগে শনিবার রাতে আসামি জীবনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার সকালে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ডোবার পানির নিচ থেকে ছোরা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাত হোসেন জীবন দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমেস্ত্রী ছিল।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত নারী জান্নাতুল ফেরদাউস পাখির ২০০৮ সালে প্রথম ও ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দ্বিতীয় বিয়ের ৬ মাস পর স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে রাজমিস্ত্রী শাহাদাত হোসেন জীবনের সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পরিচয় হয় পাখির। এরই মধ্যে উভয়ের মধ্যে প্রেম ও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে পিতাম্বরপুর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির এনায়েত উল্যার বসত ঘরে পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে দেখা করে তারা। ওইস্থানে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে বাক-বির্তকের এক পর্যায়ে জীবন তার সাথে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে প্রথমে পাখির গলা কেটে দেয়। পরে পাখি মাটিতে লুটে পড়লে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায় জীবন। পরদিন বুধবার সকালে ওই এলাকা থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শাহাদাত হোসেন জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছোরা ও নিহতের মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে।
কেআই//