খাদ থেকে উদ্ধারে শ্রীলঙ্কায় আইএমএফ প্রতিনিধিরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ২০ জুন ২০২২ সোমবার
চরম অর্থনৈতিক সংকট থেকে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তুলতে ‘উদ্ধার প্রকল্প' বিষয়ে আলোচনার জন্য শ্রীলঙ্কায় গিয়েছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল৷ এর মধ্যে দেশটিতে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি৷ প্রয়োজন জরুরি ত্রাণ তহবিলও৷
একের পর এক ভুল নীতি, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ মিলিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা৷ দুই কোটি ২০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটি গত এপ্রিলেই জানিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে তার পক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়৷
এদিকে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে জ্বালানি, আকাশচুম্বি মূল্যস্ফীতি, দেখা দিয়েছে খাদ্য ও ঔষধের চরম ঘাটতি৷ এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে জাতিসংঘ৷
এই অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তুলতে সম্ভাব্য ‘উদ্ধার প্রকল্পের' রূপরেখা ঠিক করতে সোমবার দেশটিতে গিয়েছেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা৷
সেটি কেমন হবে, কী ধরনের শর্ত থাকবে আগামী ১০ দিন ধরে চলবে সেই আলোচনা৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আইএমএফের নীতি অনুযায়ী এই কঠিন সময়ে শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি আমরা পুনঃনিশ্চিত করছি৷''
কলম্বোর আশা এই সফরের মধ্য দিয়ে ঋণ পুনর্গঠন, পর্যালোচনা এবং জরুরি ভিত্তিতে আইএমএফ পর্ষদ দেশটির জন্য অর্থ ছাড় করবে৷ কিন্তু সাধারণত এই ধরনের আলোচনার সুরাহা হতে মাসের পর মাস সময় লাগে৷ যদি তাই হয় তাহলে পণ্যের ঘাটতি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়বে দেশটি৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেলিমার এর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ প্যাট্রিক কারেন জানান, কর্মকর্তা পর্যায়ে চুক্তি হলেও চূড়ান্ত প্রকল্পে পৌঁছানোর জন্য শ্রীলঙ্কা এখন যেসব দেশ বা যাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে তাদেরকে পর্যাপ্ত ছাড় দেয়ার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে৷ আর ঋণ পুনর্গঠনের এই প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট দীর্ঘ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান তিনি৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/