কার সঙ্গে কী খাচ্ছেন? আদৌও ওজন কমছে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৪৭ পিএম, ২০ জুন ২০২২ সোমবার
সাম্প্রতিক কালে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে বেশ কিছু রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। ব্লাড সুগার, রক্তচাপ বৃদ্ধি হওয়া থেকে শুরু করে লাগামছাড়া কোলেস্টেরল নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে এই সব কিছুর মূলে রয়েছে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা। এই সমস্যা কমাতে সাঁতার, জিম ও শরীরচর্চা সব কিছুই করে থাকেন। তবে শরীরচর্চা যতই করা হোক, খাবারে লাগাম দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
খাবারের ক্ষেত্রে নজর রাখতে হয় মেনুর দিকে। অনেক সময় দেখা যায় কোনও একটি খাবার হয়তো ওজন কমায়, কিন্তু সেটিই যখন আরও একটি খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয়, তখন হয়তো উল্টে অতিরিক্ত ক্যালোরি যায় শরীরে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এমন কিছু খাবার থাকে যা একসঙ্গে খেলে পাচনতন্ত্রের পিএইচ ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ওজন কমানোর লক্ষ্য যদি থাকে তাহলে বেশ কিছু খাবার এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলি কী কী?
দুধ ও কলা:
এই দুটিই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু দুটি একসঙ্গে খাওয়া ভাল না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই দুটি খাবারের হজম পদ্ধতি ভিন্ন। হজমের জন্য ভিন্ন সময়ও লাগে। ফলে তা আদতে পাচনপ্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি, ঘুমের প্যাটার্নে সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই খাবার না খাওয়াই ভাল।
ওটস ও শুকনো ফল:
শরীরের জন্য ওটস যেমন ভাল, তেমনই ভীষণ উপকারী বিভিন্ন শুকনো ফল বা বাদাম-বেরি জাতীয় ফল। কিন্তু এই দুটি একসঙ্গে খেলে উপকার মেলে না। কারণ ওজন কমানোর জন্য ওটস খেলে কাজে দেয়। কিন্তু তার সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস খেলে কোনও লাভ নেই। কারণ প্রোটিনে ভরপুর ড্রাই ফ্রুটস ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
জ্যাম ও টোস্ট:
ব্রেকফাস্টে অনেকেই পছন্দের ফ্লেভারের জ্যামের সঙ্গে টোস্ট খেয়ে থাকেন। কিন্তু ওজন কমাতে গেলে এটি ছাড়তেই হবে। কারণ পাউরুটি ও জ্যাম দুটিই কার্বোহাইড্রেটে ঠাসা। জ্যামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ চিনিও। ফলে এত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে গেলে ওজন বাড়তে বাধ্য।
ছাড়তে হবে আরও কিছু খাবার:
দুধের সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়।
বিশেষ করে টক ফল বাদ দিতে হবে।
নোনতা কোনও খাবারের সঙ্গে দুধ খাওয়া যাবে না।
ডিম বা মাংসের সঙ্গে বিনস-জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল, কারণ দুটিই উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে।
হাইপ্রোটিন থাকা কোনও খাবারের সঙ্গে মাখন বা চিজ খাওয়া উচিত নয়।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এসবি/