নজর কাড়ছে ৩০ মণ ওজনের টাইগার বাবু
মীর মোঃ শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত : ০৮:২৬ এএম, ২১ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রেতাদের নজর কাড়ছে ৩০ মণ ওজনের টাইগার বাবু। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা ভীড় করছেন খামারী অলি মিয়ার বাড়িতে।
উচ্চতায় সাড়ে ৫ ফুট এবং লম্বায় ১১ ফুট টাইগার বাবুর এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে ৭ লাখ টাকা।
জানা যায়, ৭ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সৌদি ফেরত অলি মিয়া স্বপ্ন দেখেন খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবার। উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের মসলন্দপুর গ্রামে অলি মিয়া ও তার স্ত্রী হাবিবা বেগম বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেন খামার।
ফ্রিজিয়াম জাতের ২টি গরু কেনেন। বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে গরুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫টিতে। এরপর এক এক করে ১৪টি গরু বিক্রি হয়ে গেলেও রেখে দেন টাইগার বাবুকে। বিশাল দেহী টাইগার বাবুর ওজন এখন প্রায় ৩০ মণ। দেখতে দর্শণার্থীদের চোখ জুড়ায়।
স্থানীয়রা জানান, গরুটি দেখতে সুন্দর ও অনেক বড়। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে এত বড় গরু আর নেই, অলি মিয়া অনেক কষ্ট করে এই গরুটিকে লালন-পালন করছেন। যদি এবছর কোরবানি ঈদের বাজার ভালো থাকে তাহলে সে গরুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে।
খামারি অলি মিয়া জানান, আদর করেই গরুটির নাম রাখা হয় টাইগার বাবু। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে গরুটি হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। টাইগার বাবুকে প্রতিদিন খৈল, ভুষি, বন, খড়, ঘাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গরুটি দেখতে তার খামারে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। গরুটি ১৫ লাখ টাকার দাম চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত এর দাম উঠেছে সাত লাখ টাকা।
তার স্ত্রী হাবিবা বেগম বলেন, “আমরা গরুটিকে সন্তানের মত লালন-পালন করেছি। যে ভাবে কথা বলি সেভাবেই শুনে। গরুটি বিক্রি করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তারপরেও সংসার ও খামারের কথা চিন্তা করেই বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মতোই চলছে টাইগার বাবুর পরিচর্যা।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহ জালাল বলেন, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর খামারি অলি মিয়া অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। গরুটি বিক্রিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় সাড়ে ১২ হাজার খামারে কোরবানীর পশু হৃষ্ট-পুষ্টকরণের কাজ চলছে। জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
এএইচ