নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল, পানিবন্দিদের দুর্ভোগ চরমে
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:৪৭ এএম, ২১ জুন ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৫২ এএম, ২১ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরমে। পানিবন্দি ১ লাখ ৫ হাজার ৩শ’ বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯শ’ ২৩ জন মানুষ।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) থেকে জেলার চারটি উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কাজ করবে সেনাবাহিনী। এ তথ্য জানান ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী।
উপজেলাগুলো হলো কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্রা ও মোহনগঞ্জ।
টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলার সীমান্তবর্তী ৫ উপজেলার ৬৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। অসংখ্য পুকুর পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ।
বিভিন্ন ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে লক্ষাধিক মানুষ। বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তারা।
বানভাসী সাধারণ মানুষের অভিযোগ, তারা প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন না।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী সমন্বিতভাবে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পুনর্বাসিত মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
জেলায় বন্যাদুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাভ নগদ টাকা, ৩শ’ ৩৩ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার ৯শ’ ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১শ’ ৩১ মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা ও ২ হাজার ৩শ’ শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এএইচ