ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

তিয়েনআনমেন স্কয়ারের স্মৃতি ধরে রেখেছে লন্ডন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ২১ জুন ২০২২ মঙ্গলবার

চীনে তিয়েনআনমেন স্কয়ারের গণহত্যার স্মৃতি উদযাপন নিষিদ্ধ হলেও লন্ডনে হংকংয়ের নাগরিকরা প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটিকে জিইয়ে রেখেছে।

তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যার ৩৩ বছর উদযাপন উপলক্ষে গত ৪ জুন বিকালে লন্ডনে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বিপরীতে হোয়াইট হল থেকে শুরু হওয়া ‘দ্য ইউনাইট ফর ডেমিক্রেসি’ র্যা লিতে হাজারো মানুষ অংশ নেয়।

এরপর পিকাডিলি সার্কাসে আরেকটি সমাবেশ শুরু হয়, যেখানে চীনের গণতন্ত্র আন্দোলনের ইতিহাসে মর্মান্তিক অধ্যায়কে স্মরণ করতে শত শত লোক যোগ দেয়। এ ছাড়া চীনা দূতাবাসের বাইরে হাজারো মানুষ গণহত্যা স্মরণে রাত্রিযাপন করে। তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গণহত্যার পরপরই ডা. স্টিফেন এনজি এবং তার সহকর্মীরা প্রথম এ ধরনের কর্মসূচি পালন করেছিলেন। ৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে এবারই সবথেকে বেশি জমায়েত হয়েছে।

সমাবেশকে নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করা কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ সাংবাদিক জানান, প্রতিবাদকারীরা আজ তাই চান, ৩৩ বছর আগে যা তারা দাবি করেছিলেন; আর এটি হলো গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা। এই সমাবেশগুলো উইঘুর সম্প্রদায় এবং তিব্বতি জনগণের ওপর নৃশংসতাকে তুলে ধরে। হংকংয়ের জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। 

ভিডিওতে তিব্বতীদের উত্থান ঘটাতে চান সেরিং পাসং নামে একজন। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে কিছু উদারপন্থী চীনা মানুষ সংস্কারের চেষ্টা করেছিল, যাতে লোকেরা আরও স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র পায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কট্টরপন্থীরা সত্যিই তরুণ ছাত্রদের উপর সাঁড়াশি অভিযান চালায়। তাদের পিষে ফেলার জন্য ট্যাঙ্ক এবং সৈন্য পাঠায় এবং হাজারো ছাত্র ও যুবক মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, চীন ১৯৫০ এর দশকে তিব্বতে আক্রমণ করেছিল। তাই আমরা জানি, চীনে বা হংকংয়ে যেখানেই হোক আমাদের চীনা বন্ধুরা ব্যাপক অত্যাচার সহ্য করেছে। তাই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং নৈতিক দায়িত্ব প্রদর্শন করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের চীনা বন্ধুদের সমর্থন করা উচিত।

১৯৮৯ সালের এপ্রিলে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ও চীনের অন্যান্য শহরে ছাত্র, শ্রমিক এবং অন্যদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পর তিয়েনআনমেনে গণহত্যা চালিয়েছিল চীন, যা মূলত মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জবাবদিহিতাকে হত্যা করেছিল। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্র হলে সরকার বিক্ষোভ দমাতে ওই বছরের মে মাসের শেষের দিকে সামরিক আইন জারি করেছিল।

৩ ও ৪ জুন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সৈন্যরা অগণিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। বেইজিংয়ে সেনাবাহিনীর সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় কিছু নাগরিক সেনা দূতাবাস আক্রামণ করে এবং  যানবাহন পুড়িয়ে দেয়। সেই গণহত্যায় চীন সরকারের সেনাবাহিনীর হাতে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়।

এসি