ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

বেনাপোলে দুর্বৃত্তদের হামলায় আরও একজনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ২২ জুন ২০২২ বুধবার

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা বাজারে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত রাজু আহমেদ (২৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

যশোর ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২২ জুন) দুপুরে মারা যায়। মঙ্গলবার (২১ জুন) রাতে বোমা হামলায় সে আহত হয়েছিল।

মারা যাওয়া রাজু আহমেদ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে। তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় থানায় তার নামে ৪/৫টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। 

এর আগে মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ১০টার সময় ১২ মামলার আসামি বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী আশানুজ্জামান বাবলু (৪৫) ওরফে গোল্ড বাবলুকে পোর্ট থানার বালুন্ডা বাজারে একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। সে একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিল। এ সময় একদল সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একায় ত্রাস সৃষ্টি করে। সেই বোমায় আহত হয় রাজু আহমেদ। বাবলুর নামে বেনাপোলসহ শার্শা থানায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নিহত আশানুজ্জামান বাবলু শার্শা উপজেলার মহিষাকুড়া গ্রামের রমজান মোল্লার ছেলে। তবে এলাকার অনেকে বলেছেন, নিহত বাবলু ও রাজু আহমেদ এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। চোরাচালানের সিন্ডিকেট ও স্বর্ণ পাচারের ব্যবসায়ীক কোন দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ছাড়াও ঘটনাস্থলে র‌্যাবের একটি দলও উপস্থিত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এলাকায় এখনো চরম আতংক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী ও বেনাপোল পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাদিউজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিহত বাবলুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিল। এসময় ৮/১০ জনের একটি দুর্বৃত্তদল মোটরসাইকেলে এসে বাজারে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে বাজারের লোকজন চারিদিকে ছুটাছুটি করতে থাকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাবলু মেম্বরকে ধরে কুপিয়ে ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল ভুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তরা ইউপি সদস্য বাবলুকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। রাজু আহমেদ নামে আহত একজন যশোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। কে বা কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তিনি আরও জানান, বাবলু ও রাজু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। বাবলুর বিরুদ্ধে থানায় ১২টি ও রাজুর বিরুদ্ধে ৪/৫টি মামলা রয়েছে।

নাভারণ ‘খ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, দুটি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও হত্যায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
কেআই//