ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নাই, নতুন এলাকা প্লাবিত

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ২৩ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

সিলেট-সুনামগঞ্জসহ সারাদেশের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ভিড় বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রে। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বন্যার্তরা। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের সংকটও। কবরস্থানে পানি থাকায় মরদেহ কবর দিতে পারছেন না স্বজনরা। 

সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি ও ফেঞ্চুগঞ্জে ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা।

সুনামগঞ্জে শহরের দিকে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও গ্রামাঞ্চলে এখনও পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। জেলার ২৫ লাখ মানুষের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ।

কবরস্থানে পানি থাকায় মরদেহ কবর দেয়া যায়নি। পরে কোস্ট গার্ডের সহায়তায় একটি মরদেহ দাফন করা হলেও, অপর একটি মরদেহ কাঠের কফিনে মাটির উপরেই রাখা হয়।

নেত্রকোনার ৬৩ ইউনিয়নে এখনও পানিবন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখলেও না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। ৯৬টি মেডিকেল টিম কাজ করলেও রয়েছে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও।

জেলায় ৩৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত ১ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। এসব জায়গায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্যসহ গো-খাদ্যের সংকট। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বুড়িশ্বর, কুন্ডা, ভলাকুট, গোয়ালনগর, ধরমন্ডল, গোকর্ণ ও চাপরতলা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকাই প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান, ৮ হেক্টর সবজির জমি। প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাকা-আধাপাকা সড়ক ও বেশকিছু স্কুল পানির নিচে। রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, গো-খাদ্যসহ শুকনো খাবারের সংকট। ২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে উপজেলা প্রশাসন।

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়ে শহরের হার্ড পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। শাহজাদপুরের খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি, চৌহালী ও সদর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। সয়দাবাদ মহাসড়কের পাশে খোলা আকাশের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৫০-৬০টি পরিবার। 

কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উজানের ঢলে গাইবান্ধার যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় বেড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

এএইচ