পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বিশ্বব্যাংক-এডিবির প্রধান আসছেন না
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৩ এএম, ২৪ জুন ২০২২ শুক্রবার
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। তিনি আসতে না পারলেও ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন সংস্থাটির প্রতিনিধি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশের আরেক বড় উন্নয়ন সহযোগী এডিবির প্রেসিডেন্টও এ অনুষ্ঠানে আসছেন না। তবে এডিবির আবাসিক প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক প্রধান, ঢাকায় নিযুক্ত প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ সম্ভাব্য অতিথিদের গত ১৫ জুন আমন্ত্রণ পাঠানো শুরু হয়। তিন সহস্রাধিক অতিথিকে এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ই-মেইল এবং কার্ড পাঠানোর মাধ্যমে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস গত ১৬ জুন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টকে পাঠানো বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণপত্রের সফ্ট কপি পায়। ঢাকা অফিস দ্রুততার সঙ্গে ডেভিড ম্যালপাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফিরতি বার্তায় বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং কান্ট্রি ডিরেক্টরকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছেন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের দৈনন্দিন কর্মসূচি বিশেষত কোনো দেশে ভ্রমণের কর্মসূচি ৭-৮ মাস আগে নির্ধারণ করা হয়। জরুরি হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই-তিন মাস আগে কর্মসূচি সমন্বয় করা হয়ে থাকে। এডিবিপ্রধানের ক্ষেত্রেও দাপ্তরিক কর্মসূচি প্রায় একই রকম। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাত্র ১০ দিন আগে।
তবে জাইকার বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইহোর এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক। একই বছরের ২৮ এপ্রিল সরকারের সঙ্গে তাদের ঋণচুক্তি হয়। পরবর্তী সময়ে এডিবির সঙ্গে ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার; জাইকার সঙ্গে ৪০ কোটি ডলার এবং আইডিবির সঙ্গে ১৪ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়।
এ প্রকল্পে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন করার কথা ছিল ৫৬ কোটি ডলার। অর্থায়ন চুক্তি শেষে দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে তদারকি পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলমান অবস্থায় ২০১২ সালের ২৯ জুন এ প্রকল্পে ঋণ বাতিল করে বিশ্বব্যাংক।
পরে সরকারের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি হওয়ায় একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বেশ কিছু শর্ত দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক। তবে সরকার শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংককে 'না' বলে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
এমএম/