ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাংলাদেশের ব্যর্থতার মঞ্চে উইন্ডিজের ব্যাটিং দৃঢ়তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার

ভালো শুরু পেয়েও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পারলেন না বড় ইনিংস খেলতে। ৬৪.২ ওভার খেলেই অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরি আর টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৪ রান।

পরে সফরকারীদের হতাশ করলেন বোলাররাও। আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো শুরু এনে দিলেন দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম সেশনে ২টি এবং দ্বিতীয় সেশনে পড়লো ৪টি উইকেট। এরপর শেষ সেশনের শুরুতে পড়লো বাকি ৪ উইকেটও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার কারণে অলআউট হতে হলো ২৩৪ রানে।

লিটন দাস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন। ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তামিম ইকবাল, ২৬ রান করেছেন শরিফুল ইসলাম, এনামুল ২৩ এবং এবাদত হোসেন করেন ২১ রান।

এছাড়া জয় ১০, সাকিব ৮, সোহান মিরাজ ৯, খালেদ ২ রান যোগ করতে পারেন দলের সংগ্রহে।

পাঁচ পেসার নিয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারজন ভাগ করে নেন ১০ উইকেট। ভালো বল করলেও উইকেট পাননি রোচ। তিনটি করে উইকেট নেন জোসেফ ও সিলস। দুটি করে ফিলিপ ও মেয়ার্স।

প্রথম দিনে ১৬ ওভার ব্যাট করেছে উইন্ডিজ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান তুলেছে তারা। বাংলাদেশ থেকে ক্যারিবীয়রা এখনও ১৬৭ রানে পিছিয়ে থাকলেও হাতে পাক্কা ১০ উইকেট আছে। ক্রেইগ ব্র‍্যাথওয়েট ৫৫ বলে ৩০ এবং জন ক্যাম্পবেল ৪১ বলে ৩২ রানে শনিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

বাংলাদেশকে অলআউট করে প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামে ক্যারিবীয়রা, যেখানে শুরু থেকেই আগ্রাসী তারা। দুই ওপেনার ব্র‍্যাথওয়েট ও ক্যাম্পবেল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের গতিতে রান তুলেছেন। তাদের সামনে একেবারে অসহায় খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরা। 

শুরুতে অবশ্য সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে খালেদ অল্পের জন্য ক্যাম্পবেলের উইকেট নিতে পারেননি। ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ক্যাম্পবেল। বল উইকেটের উপর দিয়ে যাওয়ায় ৮ রানে জীবন পান এ ব্যাটসম্যান।

প্রথম ৭ ওভারে ৪০ রান দিয়ে বসেন শরিফুল আর খালেদ। উইন্ডিজ যেখানে ৬৩ ওভার বল করেও স্পিনার আনেনি, সেখানে অধিনায়ক সাকিব নিজেই অষ্টম ওভারে হাত ঘুরাতে আসেন। একটি ব্রেক-থ্রুর আশায় ঘনঘন বোলিং পরিবর্তন করেন অধিনায়ক সাকিব। অফ স্পিনার মিরাজকে অ্যাটাকে নিয়ে আসেন, তবে লাভ হয়নি কিছুতেই।

দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল অবশ্যই চাইবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে। কেননা দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৭ উইকেটে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয় ভিন্ন রাস্তা খোলা নেই সাকিবের দলের সামনে।

এএইচ