করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রভাবে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পিএম, ২৭ জুন ২০২২ সোমবার
হঠাৎ করেই করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েছে৷ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা বলছেন, কেউ করোনার পর ডেঙ্গু বা ডেঙ্গুর পর করোনার আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে৷ এদিকে সামনে ঈদুল আজহা। এতে এখনই সতর্ক না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
কেউ কেউ বলছেন, এটা করোনার চতুর্থ ঢেউ, আবার কেউ বলছে এটা পঞ্চম ঢেউ৷ এটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে৷ গত রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮০ জন, মৃত্যু দুই জনের৷
আগের দিনও একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ একই দিন দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন৷ এর মধ্যে ২৯ জনই ঢাকার৷ চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হয়েছেন ৯৫২ জন৷ এর মধ্যে একজন মারা গেছেন৷ ডেঙ্গুর মৌসুম সবে শুরু হয়েছে৷
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, "এক সপ্তাহ আগেও কোন রোগী ছিল না৷ অনেকদিন পরপর দু'একজন আসত৷ আর এখন ১০-১২ জন আছে৷ যারা আছে তারা টিকা নেওয়ায় তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ ভালো৷ তবে করোনার পর যদি কারো ডেঙ্গু হয় সেটা ভয়ঙ্করভাবে মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে৷ গত বছর এমন বেশ কয়েকজন রোগী পাওয়া গেলেও এখনও এই হাসপাতালে এমন কোন রোগী আসেনি৷”
ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার রাজধানীর পুরাতন পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত করেছে৷ আর করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, "শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে গেলেই বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যায়৷
আর এখন নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ৷ ফলে অবশ্যই এটা পঞ্চম ঢেউ৷ যদি কেউ কেউ এটাকে চতুর্থ ঢেউ বলছেন৷ সেটা যাই হোক, সামনে ঈদ এখনই সতর্ক না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে৷ টিকার প্রভাব মূলত তিন মাস থাকে৷ ফলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন৷”
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, "করোনা, ডেঙ্গু ও মৌসুমি সর্দি-জ্বর এই তিনের সংমিশ্রণে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে৷ কেউ যদি কোন একটা রোগে আক্রান্ত হন তাহলে অন্যগুলোর পরীক্ষা করাও জরুরি৷ যদি একেকটা রোগের ধরণ আরেকরকম৷ করোনার কারণে আক্রান্ত হয় ফুসফুস৷ আর ডেঙ্গু আক্রান্ত করে রক্ত৷ ফলে আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে৷ আর ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতে হবে৷ এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে হবে৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/