শিক্ষককে জুতার মালা: মামলার পর গ্রেপ্তার ৩
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ২৮ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
নড়াইলে পুলিশের সামনে এক কলেজ অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা দেয়ার নয়দিন পর মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় শুরু হলে তৎপর হয় প্রশাসন। অবশেষে সোমবার সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক শেখ মোরছালিন।
দণ্ডবিধির ৩৪, ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৪১, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৫, ৪৩৬, ৪২৭, ৫০০ ধারায় করা এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরপর রোববার রাতেই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় এবং সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবীর।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কলেজের পাশের মির্জাপুর বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শাওন খান, মির্জাপুর মধ্যপাড়া মো. মনিরুল ইসলাম এবং মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী।
ঘটনার যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে তাতে লাল গেঞ্জি পরা ৩০ বছর বয়সী শাওনকে চিহ্নিত করা গেছে।
ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে। গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।
এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ সোমবার মাধ্যমে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্ত হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয় তীব্র ক্ষোভ। ঢাকার শাহবাগেও অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ।
এএইচএস/ এসএ/