ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অবসরে মরগান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোডের্র (ইসিবি) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

২০১৯ সালে ঘরের মাঠে মরগানের নেতৃত্বে প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে ইংল্যান্ড। এমনকি তার অধীনে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষেও ওঠে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড তারই দখলে। খেলেছেন ২২৫টি ওয়ানডে ও ১১৫টি টি-টোয়েন্টি।

যদিও এ বছরটা তার ভালো যায়নি। ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে লড়াই করতে হয়েছে ৩৫ বছর বয়সী মরগানকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সর্বশেষ ২৮টি ইনিংসে মাত্র ২টি অর্ধশতক করতে পেরেছেন মরগান। 

এ মাসেই নেদারল্যান্ডসের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেছেন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্ম নেয়া মরগান। দুই ম্যাচেই শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর কুচকির ইনজুরির কারনে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারেননি মরগান। মূলত ফর্ম ও ইনজুরির কারণে অবসরের সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, এই দুই ফরম্যাটেই ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক মরগান। ২২৫ ওয়ানডেতে ১৩ সেঞ্চুরি ও ৪২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৯৫৭ রান করেছেন তিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে ১১৫ ম্যাচে ১৪টি অর্ধশতকে ২৪৫৮ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মরগানের পুরো ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান হলো, ২৪৮ ওয়ানডেতে ৭৭০১ রান ও ১১৫টি-টোয়েন্টিতে ২৪৫৮ রান। কারন ক্যারিয়ারের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। আইরিশদের হয়ে ২৩টি ওয়ানডে খেলেছেন মরগান।

২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ডের হয়ে  ওয়ানডে অভিষেক হয় মরগানের। তবে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ও ২০১০ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার। লর্ডসে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ছিলো মরগানের। ১৬ টেস্টে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭০০ রান করেছেন তিনি।

ইসিবির দেয়া এক বিবৃতিতে মরগান বলেন, “অনেক চিন্তা-ভাবনা শেষে আমি এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “নিঃসন্দেহে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চমৎকার ও উপভোগ্য অধ্যায়, সেখান থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াটা মোটেও সহজ নয়। কিন্তু আমার বিশ্বাস ইংল্যান্ডের সাদা বলের  নেতৃত্ব দেয়ার পর ব্যক্তিগভাবে এটাই সঠিক সময়।”
এসএ/