ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

গোর্খার নো ম্যানস ল্যান্ডে চীনের বেড়া, নেপালিদের বিক্ষোভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ২৯ জুন ২০২২ বুধবার

নেপালের গোর্খায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে চীনের বেড়া দেওয়া এবং দেশটির ভূখণ্ডে দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে নেপালের নাগরিকদের গ্রুপ রাষ্ট্রীয় একতা অভিযান। কয়েকডজন বিক্ষোভকারী মিছিল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হন এবং গোর্খা জেলার চুমানুব্রি গ্রামীণ পৌরসভা-১-এর রুইলা সীমান্তে বেইজিংয়ের বেআইনি কাঠামো নির্মাণ পদক্ষেপের নিন্দা জানান।

তারা ‘চীন ফিরে যাও’, ‘চীনা সম্প্রসারণবাদের অবসান কর’, ‘অধিগ্রহণকৃত জমি ফিরিয়ে দাও’, ‘চীনা হস্তক্ষেপ বন্ধ কর’ এবং ‘নেপালের বিরুদ্ধে অঘোষিত অবরোধ বন্ধ কর’ স্লোগান দেন।

রাষ্ট্রীয় একতা অভিযানের চেয়ারপারসন বিনয় যাদব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “চীন বারবার নেপালি ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে। এটি সবসময় দুই দেশের মধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে। নেপালি ভূখণ্ডের হুমলা জেলায় ১২টি ভবন নির্মাণ করে চুক্তির বিরুদ্ধে যাচ্ছে।”

বিনয় যাদব আরও বলেন, মাত্র দু-তিন দিন আগে চীন গোর্খার উত্তর দিকে নো-ম্যানস ল্যান্ডে তার বিছিয়েছিল। তারা এসে নো-ম্যানস ল্যান্ডে জমি দখল করেছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড নিন্দনীয়। চীনের উচিত আমাদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া।

তার ভাষ্য, “আমরা দখলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে চীনের পাশাপাশি নেপালি পক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চীন অধিকৃত নেপালি অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করা উচিত।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণের সময় যে মানদণ্ড মেনে চলা উচিত তা না মেনেই বেড়া দেওয়া হয়েছে। 

গোর্খার জেলার মুখ্য কর্মকর্তা শঙ্কর হরি আচার্য জানান, তিনি সীমান্তে বেড়ার ব্যাপারে কিছু জানেন না। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নো ম্যানস ল্যান্ডে কোনো স্থাপনা বা বেড়া নির্মাণ করা যাবে না। এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য দ্বিপাক্ষিক ঐকমত্য প্রয়োজন।

তবে স্থানীয়দের দাবি, আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে রুইলা সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় বেড়া দিয়েছে চীন। বেড়া নির্মাণের মাধ্যমে চীনা অবৈধ দখলের ফলে সীমান্তের ওপারে স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন তারা।

এসি