ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

ক্লাসে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত, রাবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৫২ এএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষকের সাথে অশোভন আচরণ করায় আশিক উল্লাহ নামের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত আশিককে স্থায়ী বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (২৯ জুন) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ক্লাসে অশোভন আচরণ করায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটক করে বিভাগের সভাপতির কক্ষে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

শিক্ষকদের সাথে বারবার অসদাচরণ, মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করা ও কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দেয়ায় আশিক উল্লাহর বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্থা করার প্রেক্ষিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ৪র্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন ইমপ্রুভমেন্টের কথা বলে ক্লাসে প্রবেশ করেন মাস্টর্সের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোন ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাস শেষের দিকে সে ওই শিক্ষিকাকে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকেন। 

এক পর্যায়ে শিক্ষিকা ক্লাস থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্ধত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাস রুমে আটকে রেখে ওই শিক্ষিকাকে নিরাপদে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দীকা বলেন, “আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাস শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের আভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সাথে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।” 

অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সাথে বেয়াদবি করেন বলেও অভিযোগ করেন এই অধ্যাপক।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করা হবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেট কমিটিতে রিপোর্ট সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এএইচ