বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
সর্বজনীন পেনশন স্কীম চালু হচ্ছে। চলতি বছরেই এ সংক্রান্ত আইন পাস করার লক্ষ্য সরকারের। এদিকে, পেনশন ব্যবস্থা চালু হলে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ধীরে ধীরে সংকুচিত হবে। সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে অবশেষে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবছরই পাস হবে আইন।
সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত। আর ৬০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত মিলবে পেনশন সুবিধা। এক্ষেত্রে ১৮ বছর থেকে কেউ মাসে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়সের পর তিনি মাসে পাবেন ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা। তবে চাঁদার হারে পার্থক্য থাকছে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের আয় বৈষাম্য বাড়ছে। অনেকেই একটা বয়সের পরে যখন কাজ করতে পারেন না বিশেষ করে ইনফরর্মাল সেক্টরে। তারা খুবই একটা অসহায় অবস্থার মধ্যে থাকছেন।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের উদ্যোগ ভালো। তবে বিষয়টি পরিচালনার জন্য একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী একটি প্রতিষ্ঠান জরুরি।
অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রফেশনালিজমের প্রয়োজন পড়বে, আস্থারও ব্যাপার আছে। বিনিয়োগ কোথায় করা হবে বা করা হবে না সেটার ব্যাপারেও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটা ব্যাপার আছে। কেননা এখানে বড় একটা ফান্ড ক্রিয়েট হবে। তো অন্যান্য সেক্টরে যে দুর্বলতাগুলো আমরা দেখি, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এটা করতে হবে। এখানে সবারই তো স্বার্থ জড়িত থাকবে।”
সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ১৫ লাখ বয়স্ক ও দুস্থ মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশনের আওতায় এলে তারা সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হবেন। আর এতে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো আস্তে আাস্তে সংকুচিত হবে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন মডেলে এটা হতে পারে। সরকার সেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ দিতে পারে, তারা নিজেরা কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। তারপরে এমপ্লয়ার যারা আছেন তারাও দিতে পারেন। এটার জন্য যে ফান্ড হবে সেটা বিনিয়োগ করে যাতে লাভজনকভাবে ব্যবহার করা যায়।”
২০২০ সালে দেশে ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ। যা ২০৪১ সালে ৩ কোটি ১০ এবং ২০৬১ সালে ৫ কোটি ৫৭ লাখে উন্নীত হবে।
এএইচ