৩৩টি খাদ্যস্থাপনাকে গ্রেডিং প্রদান করলো বিএফএসএ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:৫২ পিএম, ৩০ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্যস্থাপনাকে গ্রেডিং প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ রুমে বিকেল তিনটায় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এ গ্রেডিং প্রদান দেয়া হয়।
অনুষ্ঠেয় এ গ্রেডিং প্রদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন বিকাশে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যের মান। কোনো পর্যটক যখন কোথাও যান, তখন তিনি যেন এসব গ্রেডিং স্টিকার দেখে একটা সমর্থন পান।’
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খান। তিনি তার বক্তব্যে যারা কম গ্রেড পেয়েছেন, তাদেরকে ৪৫ দিন সময় বেঁধে দেন। এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেড উন্নীত করার আহবান জানান।
ঢাকা দক্ষিণ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বিপু নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি বিভিন্ন সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।
এ সময় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্যস্থাপনাকে নতুন করে গ্রেডিং এবং ৪০ টি প্রতিষ্ঠানকে রিগ্রেডিং (পূনরায় গ্রেডিং) স্টিকার প্রদান করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ টি খাদ্যস্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয় এবং ৭১টি খাদ্যস্থাপনাকে রিগ্রেডিং করা হয়। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৮টি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩০টি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০টি এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৩টি খাদ্যস্থাপনাকে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে হোটেল রেস্তোরাঁকে বিশেষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা শুরু করে। এ+, এ, বি এবং সি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এ গ্রেডিং স্টিকার বিতরণ করা হয়। ৯০ বা তার বেশি নম্বর পেলে এ+, ৮০-৮৯ নম্বর পেলে এ, ৭০-৭৯ পেলে বি এবং ৭০ এর নীচে পেলে সি গ্রেড প্রদান করা হয়।
খাদ্যস্থাপনার পরিবেশ, প্রশাসনিক বিষয়াদি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খাবার সংরক্ষণ ও মজুদ এবং ভোক্তার সাথে আচরণ এসব বিষয় বিবেচনা করে গ্রেডিং স্টিকার প্রদান করা হয়।
এসময় মনিটরিং ও খাদ্যস্থাপনা পরিদর্শনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পোশাক চালু করা হয়। জলপাই রং এর এ পোশাক পরিধান করে এখন থেকে খাদ্যস্থাপনা পরিদর্শন করা হবে।
এসি