আ’লীগ নেতা রিপন হত্যার প্রধান আসামি বিমানবন্দরে গ্রেফতার
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছায়েদ মো. রিপন হত্যার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন সাইফুলকে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে তাকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বিকাল পৌনে ৪টায় তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
গ্রেফতার ইকবাল হোসেন সাইফুল (৩২) বেগমগঞ্জের মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের তবারক উল্যাহর ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছায়েদ মো. রিপন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী নেতা রিপনকে কুপিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ইকবাল হোসেন সাইফুলকে দীর্ঘদিন থেকে খুঁজছে পুলিশ। গোপন সংবাদে জানা যায় তিনি বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। পরে বিমানবন্দরে তার ব্যাপারে সতর্কতা নোটিশ জারি করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর আসামি সাইফুলকে বেগমগঞ্জে আনা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আরও কারা জড়িত সে ব্যাপারে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামের সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ী আবু ছায়েদ রিপনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত রিপন চৌমুহনী চৌরাস্তায় লাল সবুজ পরিবহনের কাউন্টার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের আগের রাতে পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা তাকে বাড়ির কাছেই কুপিয়ে হত্যা করে। ভোরে পথচারীরা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানান, আবু ছায়েদ রিপনের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তার বড়ভাই মারা যাওয়ার পর ভাবিকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর আগে ভাইয়ের সংসারের আরও দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এএইচ