ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

 শাশুড়িকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৬ পিএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১১:১৪ পিএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসী ছেলের স্ত্রী মিতু আক্তারের (২৫) বিরুদ্ধে শাশুড়ি ছালেহা বেগমকে (৬০) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসাজনিত কারণে বিলম্ব হওয়ায় ২ জুলাই পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

এ ঘটনায় ছালেহার স্বামী সিরাজ বেপারী (৬৩) বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত রোববার সালেহা বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে বাড়ি ফিরেন।

আহত ছালেহা বেগম উপজেলা শিকারীপাড়া গ্রামের সিরাজ বেপারীর স্ত্রী। অভিযুক্ত মিতু আক্তার তাদের ছেলে সজীবের স্ত্রী এবং উপজেলার বারুয়াখালী গ্রামের মোশারফ খানের মেয়ে।

সিরাজ বেপারী ও আহত ছালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ৪ বছর আগে বিয়ের পর সজীব বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে মিতু বাবার বাড়িতে থাকতো। তারা আমাদের খোঁজ খবর বা কোন টাকা পয়সাও দিতো না। 

তারা জানান, গত ১২ জুন সকালে মিতু আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলে এবং আমাদের সাথে সংসার করবে জানিয়ে কোমল পানীয় পান করিয়ে চলে যায়। ঘটনার ৩দিন পর ১৫ জুন সকাল ১০টার দিকে আবার বাড়িতে আসে। আমার স্ত্রীকে একা পেয়ে, মিথ্যা কথা বলে ওয়্যারড্রপের চাবি নেয়। পরে মলম বা কীটনাশক জাতীয়দ্রব্য আমার স্ত্রীর চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে চাপ দিলে নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। মারা গেছে ভেবে মিতু তারাতারি ওয়্যারড্রপ খুলে নগদ ৮২ হাজার টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে এসে দেখি, স্ত্রী আহতাবস্থায় ঘরে পড়ে আছে। তাকে দ্রুত নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে স্ত্রীর জ্ঞান ফিরে এলে, ঘটনা জেনে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করি।

এ ব্যাপারে জানতে মিতু আক্তারের বাবার বাড়িতে গেলে তিনি জানান, আমি তাদের (শ্বশুর) বাড়িতে থাকি না। আমি ওই বাড়িতে যাইনি। এ ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা করেছে। আমি জামিনে আছি।

মিতুর স্বামী প্রবাসী সজীব মুঠোফোনে ভিডিও মাধ্যমে জানান, আমার মা-বাবা আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমার স্ত্রী খুবই ভাল। সে আমার মা-বাবার সাথে কখনও এ কাজ করতে পারে না।

মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত, নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল ২ জুলাই দুপুরে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। 
কেআই//