মসলার বাজারে ভিন্ন চিত্র, দর পড়তির দিকে (ভিডিও)
একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মসলার পাইকারি দর পড়তির দিকে। কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং গরম মসলার বাজার থাকে চড়া। এবার সরবরাহ প্রচুর এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়ায় আদা, চীনা রসুন ও এলাচের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
মসলা মূলত আমদানি হয় ভারত, আফগানিস্তান, গুয়েতামালা, মাদাগাসকার, সিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, ইরান ও তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ থেকে। এবার দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে।
চীনা রসুন ও আদার সরবরাহও পর্যাপ্ত। তাই গত ৩-৪ বছরের মধ্যে আদা ও রসুনের পাইকারি দাম তলানিতে। খাতুনগঞ্জে চীনা আদা ৬১-৬৫ এবং রসুন ৯১-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, “ইন্ডিয়া বন্ধ হওয়ার পর থেকে দেশী পেঁয়াজ, রসুন এবং আদার মার্কেট স্বাভাবিক আছে। দামও অনেক কম। প্রচুর পরিমাণে মজুদ আছে মালামাল।”
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গরম মসলা তথা জিরা, এলাচ, গোল মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনির সরবরাহ অনেক বেশি। তিন বছরের ব্যবধানে এলাচের দাম এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, “এলাচের দাম তিন ভাগের একভাগে নেমে এসেছে। গত বছর যেটা ২৪-২৫শ’ টাকা বিক্রি হয়েছে সেটা এবার ১১-১২শ’ টাকা।”
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বাজারে মসলার যে সরবরাহ রয়েছে তা দিয়ে পাঁচ-ছয় মাস চাহিদা মেটানো যাবে, কোরবানির বাজারে মসলার কোনো সংকট থাকবে না। ফলে মসলার বাজার দর পড়তির দিকে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, “ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যে পণ্যগুলো আমদানি করা হয়েছে সবগুলো আন্ডার কস্টিংয়ে বিক্রি করছি।”
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ টন পেঁয়াজ-রসুনসহ বিভিন্ন শ্রেণির মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি হতো। প্রতিবছর কোরবানি ঈদ উপলক্ষে চাহিদা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বেচা-বিক্রি গড়ে ৬০০ টনে নেমে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এএইচ