অধ্যক্ষ লাঞ্ছনার ঘটনায় আটক ৪ জন রিমান্ডে
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুরকৃতরা হলেন ঘটনার দুই হোতা অনার্স শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ রনি ও মোবাইল মেকার শাওন খান, রিমন এবং মনিরুল ইসলাম।
তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান। এ মামলায় ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সদর থানার ওসি শওকত কবিরকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়েব হোসেন চৌধুরী। অপরদিকে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে- প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেননি রাহুল।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।
এদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান।
আরএমএ/এএইচ