শিক্ষকের পিটুনিতে দুই ছাত্রী আইসিইউতে ভর্তি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৫৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০২২ রবিবার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই দুই ছাত্রী উপজেলার ইউএস বাংলা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় শনিবার (২ জুলাই) রাতে রূপগঞ্জ থানায় শিক্ষার্থীর স্বজনেরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকার হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থীরা হলেন উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগান বাড়ি এলাকার মৃত মোমেন ভূইয়ার মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৪) ও একই পৌরসভার বরপা কর্নগোপ এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে সামিয়া সিমি নিশী (১৩)। তারা ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফএম সায়েদ জানান, দুই শিক্ষার্থীকে মারপিট করে আহত করায় শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে সতত্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, ঈদ উপলক্ষ্যে শনিবার সাড়ে ১২টার দিকে বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছুটি ঘোষণ করা হয়। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই স্কুলে চুমকি মাখামাখি শুরু করে। এসময় ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে নিয়ে যান শিক্ষক জসিমউদ্দিন।
এরপর তাদেরকে বেত দিয়ে এলোপাথারী বেত্রাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন। তখন আঘাত সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন দুই ছাত্রী।
পরে তাদেরকে ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জরহর লাল ঘোষ জানান, স্কুল ছুটি শুনে ছেলেমেয়েরা সবাই চুমকি নিয়ে মাখামাখি করছিল। তখন বাংলা বিভাগের শিক্ষক জসিম উদ্দিন গিয়ে তাদের বেতের বাড়ি দেন। তখন আমি রুমে ছিলাম, ঘটনা আপনার রুমের সামনে বারান্দায় ঘটে।
পরে আমি ছুটে গিয়ে তাকে বাঁধা দেই। পরে ছাত্রীদের মাথায় পানি ডালা হয়। তখন প্রথমে একজন ছাত্রী অসুস্থ্ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আরেকজনকেও। সন্ধ্যায় আমরা তাদের দেখে এসেছি। বিষয়টি শিক্ষা অফিসারও জানেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। স্কুল কমিটিও মিটিং ডেকেছে। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এএইচ