জরাজীর্ণ গণপরিবহনে নাকাল নগরবাসী (ভিডিও)
আদিত্য মামুন, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার
রঙচটা পরিত্যক্ত নগরপরিবহনের বিকল্প খুঁজতে মরিয়া রাজধানীর সাধারণ মানুষ। ভাঙাচোরা-জরাজীর্ণ এসব পরিবহন যেমন কর্মঘন্টা নষ্ট করছে তেমনি প্রতিনিয়ত নাকাল নগরবাসী।
রাজধানী ঢাকার দু’কোটি জনগোষ্ঠীর ৯২ শতাংশই ব্যবহার করেন গণপরিবহন। অথচ এসব বাসে নিপাট ভদ্রলোকের চড়ার উপায় নেই।
ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত যান ব্যবহার করেন মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ। জটের ধকলে এদের বহু সময় আবার কাটাতে হয় রাস্তায়।
যাত্রীরা জানান, “এই গাড়িগুলোর ডেট ওভার হয়ে গেছে, ভেঙ্গেচুরে পড়ছে সেই গাড়িগুলো রোডে চলছে। ভাল মানের কোনো গাড়ি নেই।”
এই শহরে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় কর্মজীবী নারীদের।
তারা জানান, “বাসে অনেকে হ্যারেজমেন্ট হয়। নির্দিষ্ট মহিলা সিটে পুরুষ যাত্রীরা বসে থাকেন।”
বিআরটিএ’র তথ্য বলছে চলতি বছরের প্রথম দু’মাসে রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ গাড়ি। এর মধ্যে বাস ৬৪০টি, প্রাইভেটকার ৩ হাজার ১২৩টি, মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩২৫টি আর মোটরসাইকেল ৮৪ হাজার ৫৮৩টি।
বিশ্বের অন্য রাজধানী শহরের মতো গণপরিবহন নিয়ে কাজ করছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “মানসম্মত কোনো পরিবহন নেই বলতে গেলে চলে।”
গণমানুষের কথা ভেবে গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ নগরবিদদের।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “ট্রেন, বাস এবং নদীপথ ভিত্তিক গণপরিবহনকে প্রাধান্য দেওয়া। বার বার বলা সত্ত্বেও আমাদের সমস্ত বিনিয়োগ এবং প্রকল্পগুলো ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর।”
একের পর এক প্রকল্প, সিন্ডিকেট ও লাগামহীন অনিয়মের কারণে ঢাকার মানুষ সুবিধা পায়নি গণপরিবহনের।
স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “অত্যন্ত সংকীর্ণ পরিসরে থাকার কারণে মানুষ এখন বাধ্য হচ্ছে হোন্ডার পেছনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে।”
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, সবকিছুই আছে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই।
বিআরটিএ মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, “কোম্পানি ভিত্তিক গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। এভাবে পর্যায়েক্রমে যদি শুরু হয় তাহলে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো থাকবে না।”
এতো এতো অনিয়মের কারণে গেল ১০ বছরে যানচলাচলের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৭ কিলোমিটারে।
এএইচ