ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রামে কোভিডে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৩

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২ পিএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় করোনায় নতুন ৯৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর এগারো ল্যাব, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও এন্টিজেন টেস্টে ৬০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ৯৩ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ৮২ ও উপজেলার ১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ায় ৩ জন, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে একজন করে রয়েছেন। 

এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৪৪ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৮১২ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৬৩২ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৬৫ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২১ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। 

সরকারি পরীক্ষাগার বিআইটিআইডি’তে ৬৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭টিতে করোনার জীবাণু মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৭১ নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ৪টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯টি নমুনায় শহরের ৪টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১০৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহর ও গ্রামে একজনেরও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। শেভরনে ৪৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৯টি নমুনায় একটিতেও জীবাণু পাওয়া যায়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৮টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ২টি ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হয়। 

এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনেরও সংক্রমণের প্রমাণ মিলেনি। ল্যাব এইডে ২ জনের নমুনায় শহরের ১ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৩ নমুনার মধ্যে শহরের ১২টিতেই জীবাণু চিহ্নিত হয়। 

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ১৪, চমেকহা’য় ২৯ দশমিক ৫৮, আরটিআরএল-এ ৪৪ দশমিক ৪৪, এন্টিজেন টেস্টে ৪ দশমিক ৭১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০, শেভরনে ১৩ দশমিক ৯৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ দশমিক ২৩, ল্যাব এইডে ৫০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

এসি