ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৬ ১৪৩১

মাশরাফির জন্য প্রস্তুত ২৫ মণ ওজনের ‘নড়াইলের বস’ (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০১:৪৭ পিএম, ৬ জুলাই ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ৬ জুলাই ২০২২ বুধবার

কোরবানির আগে বাহারি নামের বড় বড় গরু নিয়ে কৌতুহল থাকে সবারই। বিশালাকৃতির গরু দেখতে খামারগুলোতে ভিড় জমান ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। ভালো দাম পাওয়ার আশায় খামারিরাও বছর ধরে যত্ন করে বড় করেন এসব গরু।

শক্তিশালী টিপু সুলতানকে গোয়ালে তুলতে আর বের করতে কয়েকজনকে শক্তিক্ষয় করতে হয় প্রতিদিন। দেশি পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরুটির ওজন ৩৫ মণে পরিণত করেছেন আক্কেলপুরের হাসতা বসন্তপুরের খামারি জুবায়ের হোসেন রনি।

খামারী জুবায়ের হোসেন রনি বলেন, “ভুট্টা, গম, খেসারি, অ্যাঙকর, মাঝে মধ্যে ফলমূল খাওয়াই। এভাবে ছোট থেকে তাকে লালন-পালন করে আসছি।”

জেলায় এ বছর কোরবানির হাটে উঠতে প্রস্তুত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৬০টি পশু। 

ক্রিকেটতারকা মাশরাফি বিন মতুর্জার জন্য ‘নড়াইলের বস’ নামে প্রায় ২৫ মণ ওজনের সাদা-কালো ষাঁড়টি প্রস্তুত করেছেন কালিয়ার খড়ড়িয়া গ্রামের রিপন মিয়া। কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য আরও ১৬টি গরু লালন-পালন করেছেন তিনি।

খামারি রিপন মিয়া বলেন, “গরুটা যখনই কিনেছি তখন নিয়াত করেছি মাশরাফি ভাইকে দিব। যেহেতু সে ক্রিকেটের বস।”

নড়াইলের বিভিন্ন খামারে ৪৬ হাজার ২৮১ হাজার গরু-ছাগলসহ অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। লাভজনক হওয়ায় তিন উপজেলায় ছোট-বড় চার হাজার ৭৯২টি গরু-ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে।

প্রায় আট ফুট লম্বা ও ৩৪ মণ ওজনের শান্তপ্রকৃতির দুটি ষাঁড় ‘বস’ ও ‘বাদশা’। ফেনীর সোনাগাজীর তরুণ উদ্যোক্তা রুহি দাস দেশি পদ্ধতিতে এদের লালন-পালন করছেন। বসের দাম রাখা হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বাদশার দাম আট লাখ টাকা।

খামারি রুহি দাস বলেন, “২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত গরু লালন-পালন করছি। খুবই যত্ন সহকারে আমার বাচ্চার মতো করে তাদের লালন করে আসছি।”

এবার জেলায় ৭৫ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদার বিপরীতে প্রস্তুত রয়েছে ৮১ হাজার। কোরবানির হাট বসেছে ১২৯টি।

দুটি ৪০ মণ ও একটি ৩২ মণ ওজনের তিনটি গরু তিন বছর ধরে পালন করছেন রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আব্দুল অহেদ। এবারে এদের বিক্রির জন্য দাম ধরা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। 

অন্য দিকে কালুখালীর মিজানুর রহমান তিন বছর ধরে বড় করছেন ৩৫ মণ ওজনের গরুটি। মিজানুর রহমান বলেন, “ছাল, ভুট্টা, ছোলা ছাড়া অন্য কিছুই আমার গরুটিকে খাওয়াইনি। এমন কি কোন ইঞ্জেকশনও দেইনি।”

এবছর রাজবাড়ীতে চাহিদার চেয়ে ৪ হাজার গরু-ছাগল বেশি রয়েছে। 

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন বড় গরু লালন-পালনে ঝুঁকি বেশি। কোরবানিতে এসব গরু বিক্রি না হলে লোকসানে পড়বেন খামারিরা। সেজন্য বিক্রির জন্য অনলাইনে প্রচার করছেন তারা।

জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, “কোরবানিতে যে গরুটার দাম দেড় লাখ টাকা, সে গরু কোরবানির পরেও ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব। কারণ মাংসের দাম যেহেতু ভাল। সে ক্ষেত্রে খামারির আতঙ্কিত বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

এএইচ