রাজধানীতে পশু বিক্রি বেড়েছে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০৩ এএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার
আর মাত্র দুই দিন বাকি। তার পরেই কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে রাজধানীর পশুহাটে গরু-ছাগলের বিক্রি বেড়েছে। জমে উঠেছে হাট। বৃহস্পতিবার থেকে হাটে পশু বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।
এ বছর রাজধানীর প্রতিটি হাটেই গরু-ছাগল এসেছে প্রচুর। এসব গবাদিপশুর বেশির ভাগই গৃহপালিত। যত্ন করে কোরবানির সময় বিক্রির জন্য লালন-পালন করা পশুর সংখ্যাই বেশি। এসব পশুর দামও তাই বেশ চড়া।
কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, বুধবার বিকেল থেকে হাটে ক্রেতার সমাগম বেড়েছে। এ দিনও বিক্রি হয়েছে পশু। ঈদের আর মাত্র দু’দিন বাকি থাকায় বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিক্রেতারা।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে পশু লালন-পালন খরচ বেড়ে যাওয়া ও যত্নের কারণে গরুর আকার বড় হওয়ায় দাম বেশি চাচ্ছেন তারা। তবে বেশি দামে গরু কেনার মানুষ খুবই কম। মাঝারি আকারের গরুর দিকেই নজর বেশি। ক্রেতারা মনে করছেন মাঝারি গরুর দাম এখনো বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। সময় যত বাড়বে দামও কমতে পারে। আর হাটে এত পরিমাণ গরু-ছাগল এসেছে দাম না কমালে শেষ দিকে গরু নিয়ে বিপদে পড়তে পারেন দূরের জেলা থেকে আসা বিক্রেতারা।
বুধবার বিভিন্ন হাটে দেখা গেছে, পশু বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে। পশু নিতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বেড়েছে আগের তুলনায় যথেষ্ট। তবে বেশির ভাগ ক্রেতাই দরদাম করছেন। কিনেছেন খুব অল্প সংখ্যক লোকই।
কুষ্টিয়া থেকে দু’টি বড় গরু নিয়ে রাজধানীর গাবতলী হাটে এসেছেন মোবারক হোসেন। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকছেন সাড়ে ৮ লাখ টাকা। অনেক আশা করে হাটে দু’টি গরু নিয়ে এলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। তবে ঈদের আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার ক্রেতা মিলবে বলে আশা করছেন তিনি।
গাবতলী হাট ঘুরে দেখা গেছে, এখানে বড় গরুর ক্রেতা কম। যেসব ক্রেতা আসছেন তারাও আশানুরূপ দাম বলছেন না।
এ হাটে একটি বড় গরু তুলেছেন রহিম মিয়া। তার দাবি, বড় গরুর দাম আশানুরূপ বলা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “১৫ লাখ টাকা দামের গরু বলা হচ্ছে খুবই কম, যা বলার মতো নয়। তবে সামনে বড় গরুর ক্রেতা হাটে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুর রহিম।”
এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী হাট সারুলিয়া ছাড়াও অস্থায়ী আরো ১০টি হাট বসেছে। অন্য দিকে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাবতলী হাট ছাড়াও ৯টি হাট বসেছে। এর মধ্যে ডিএনসিসির গাবতলী, বছিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের পশুহাটসহ ছয়টিতে ডিজিটাল লেনদেনের জন্য বুথ বসানো হয়েছে।
এসএ/