ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চরম সঙ্কটে জনসনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

বড় বিপদের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে তাদের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তাদের এ পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি কনসারভেটিভ সরকারের সঙ্কট আরো গভীর হয়েছে। এ সঙ্কট কাটিয়ে জনসন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না- সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুধু দুই মন্ত্রীই নয়, তার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ২৭ জন তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যা দেশটির ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র বিবিসিকে বলেছেন, “এখন প্রশ্ন আসলে তিনি কীভাবে বিদায় নেবেন।” তিনি আরও বলেছেন, “পরিস্থিতি আর তার টিকে থাকার মতো অবস্থায় নেই।”

এদিকে গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, বরিস জনসনের মন্ত্রীসভার একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বরিস জনসনের কাছে যাবে। তারা বরিসকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাবেন। 

এই প্রতিনিধি দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী রয়েছেন। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস বুধবার গভীর রাতে মন্ত্রিসভা এবং কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহের মধ্যে এক শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন।

মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হওয়া কমিউনিটি সেক্রেটারি মাইকেল গভের ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোট প্রচারে জনসনের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত পেয়েছিলেন।

গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দলের এমপিদের এক আস্থা ভোটে জয়ী হন। যদিও দলের বিশাল সংখ্যক এমপি তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। এ কারণে ব্রিটিশ আইন অনুসারে আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। তবে কয়েকজন এমপি তাকে ক্ষমা থেকে সরানোর জন্য এ আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

তবে পরিস্থিতি এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, যে কোনো সময় নিজেই পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। 
এসএ/