ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

স্বপ্নের সেতুতে স্বস্তির ঈদযাত্রা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৯ পিএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। ভোগান্তি এড়াতে নাড়ির টানে পদ্মা সেতু হয়ে গন্তব্যে ছুটছেন তারা। যুগ যুগ ধরে চলা ভোগান্তির অবসানে হাসি ফুটেছে কোটি মানুষের মুখে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে সায়েদাবাদ, গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেলেও বাসগুলো ছাড়ার পর ঢাকা-মাওয়া পথে যানজটের কোনও খবর পাওয়া যায়নি, তেমনি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটও ছিল প্রায় খালি।

সেতু হয়ে স্বাচ্ছন্দ্য আর নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি সাধারণ যাত্রীরা।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় এই রুটে ৬০ কোম্পানির প্রায় দেড় হাজার বাস নিয়মিত চলাচল করছে।

এসব রুটে দূরত্ব কমেছে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। সেই সঙ্গে ফেরি পারের ঝক্কি না থাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা কম লাগছে গন্তব্যে পৌঁছাতে।

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বিআরটিসি প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ রুটে বাস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ধীরে ধীরে রুটের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

ঈদের আগে পদ্মা সেতু দিয়ে আধুনিক ও উন্নতমানের বাস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।

বরিশাল থেকে আগে বিআরটিসির বাসগুলো কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গত ২৬ জুন থেকে সরাসরি দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা ঢাকা পৌঁছে যাচ্ছেন।

বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস ডিপোসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১৫টি বাস কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত যাতায়াত করত। এরপর যাত্রীরা লঞ্চ, ফেরি অথবা স্পিডবোটে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছাতেন। সেই ভোগান্তির অবসান হয়েছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। ২৬ জুন থেকে বরিশাল, ভান্ডারিয়া, বাউফল ও কুয়াকাটা, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে বিআরটিসির বাস।

এসব রুটে প্রতিদিন ১৫টি বাস চলাচল করছে। ঢাকা থেকেও তেমনি ১৫টি বাস ছেড়ে যাচ্ছে বরিশালের উদ্দেশে। এর মধ্যে বরিশাল নথুল্লাবাদ বিআরটিসি ডিপো থেকেই ছাড়ছে ১১টি বাস। বাসগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া সব-কটির শীতাতপ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বরিশাল বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে বরিশাল থেকে ঢাকায় অর্ধশত বিলাসবহুল এবং ১০০-এর মতো সাধারণ বাস চলছে। ধীরে ধীরে সব কোম্পানিই বাস চালু করবে।

এমএম/