ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ব্লাটার ও প্লাতিনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ৮ জুলাই ২০২২ শুক্রবার

সেপ ব্লাটার ও মিশেল প্লাতিনি

সেপ ব্লাটার ও মিশেল প্লাতিনি

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল সেপ ব্লাটারের বিরুদ্ধে। ফিফার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে চলা সেই মামলার শুনানি শেষ হল। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ব্লাটার এবং ফিফার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি।

ব্লাটার এবং প্লাতিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে প্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তারা। অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন দু’জনেই। তারা জানান, প্লাতিনির কিছু কাজের জন্য ফিফা দেরিতে পারিশ্রমিক দেয়। 

শুক্রবার সেপ ব্লাটার আদালতে বলেন, “জীবনে অনেক অনৈতিক কাজ করেছি, কিন্তু এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। আমি নির্দোষ।”

সুইজারল্যান্ডে ১১ দিন ধরে শুনানি চলছিল। গত ২২ জুন শুনানি শেষ হয়। রায় হল শুক্রবার। যে রায়ের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন তারা।

এর আগে ২০১৫ সাল থেকেই ফুটবলে নিষিদ্ধ ছিলেন ব্লাটার এবং প্লাতিনি। ফ্রান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক প্লাতিনিকে উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দিতে বলেন ব্লাটার। সেই সময় প্লাতিনি বছরে প্রায় সাত কোটি টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে দাবি করেন। ব্লাটার তা দিতে চাননি। তিনি প্লাতিনিকে প্রতি বছর প্রায় দু’কোটি টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

প্লাতিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ফিফার হয়ে কাজ করেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এই পারিশ্রমিক পাননি। ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিফার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে পারিশ্রমিক নেননি প্লাতিনি। 

উয়েফা প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা এই তারকা বলেন, “আমি প্রেসিডেন্টকে ভরসা করেছিলাম। জানতাম একদিন ঠিক টাকা পেয়ে যাব।” 

কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্লাতিনি জানতে পারেন ফিফার কিছু পুরনো কর্মী টাকা পেয়েছেন। প্লাতিনি সেই সময় তার পারিশ্রমিক চান। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পারিশ্রমিক দাবি করেন তিনি। ব্লাটার অনুমতি দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে টাকাটা পেয়ে যান প্লাতিনি।

তবে সুইস প্রসিকিউটরদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে প্লাতিনিকে বেআইনিভাবে ২০ লাখ ইউরো প্রদান করেছিলেন ব্লাটার। 

এরপর প্রাথমিকভাবে গত নভেম্বরে তাদেরকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। পরে গত জুনে শুরু হয় বিচারকার্য।

এনএস//