ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

দলকে চাঙ্গা করার মতো জয়: তামিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩২ এএম, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার

ঘরে-বাইরে একের পর এক পরাজয়ে দলের মনোবল ছিল বিধ্বস্ত। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে একটি জয়ের বিকল্প ছিল না। অবশেষে কাঙিক্ষত জয়ের দেখা মিলল গায়ানায়। 

দলের মনোবল চাঙ্গা করতে এই জয় টনিকের মতো কাজ করবে বলে মনে করছেন তামিম ইকবাল। 

গত মার্চ-এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারার পর দেশে ফিরে মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও টেস্ট সিরিজে পরাজয় টাইগারদের। এরপর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে হারতে হয় ২-০ ব্যবধানে।

ব্যর্থতার সেই চক্র অবশেষে ভাঙতে পেরেছে দল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রোববার ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের পর গায়ানায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, “সিরিজ শুরুর আগেও বলেছিলাম হারতে কখনই ভালো লাগে না। জিতলে আবহ ভালো থাকে, ড্রেসিং রুমের অবস্থা ভালো থাকে। সেদিক থেকে ভালো লাগছে প্রথম ম্যাচ জিতে।”

“টিম মিটিংয়েও আমি একটি কথা বলে, আমি ওয়ানডে অধিনায়ক বলেই যেসব বদলে যাবে, তা নয়। ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলি বলেই সব বদলে যাবে না। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে যারা অধিনায়ক ছিল, খেলোয়াড় যারা খেলেছে, সবাই তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে ভালো করতে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভালো করতে পারিনি আমরা। এই ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করতে পেরেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।”

বৃষ্টিভেজা মাঠের কারণে এ দিন ম্যাচ নেমে আসে ৪১ ওভারে। দীর্ঘক্ষণ ঢেকে রাখা উইকেটে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের ৪ উইকেট ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৩ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে আটকে রাখেন তারা। এই রান তাড়া করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ব্যাটসম্যানদের।

টস জয়কে এই ম্যাচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বললেন তামিম। অধিনায়ক কৃতিত্ব দিলেন বোলারদেরও।

“উইকেট কঠিন ছিল। সত্যি বলতে, দুই দলের জন্যই কঠিন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমরা টস জিতেছি, আজকের ম্যাচের সেরা ব্যাপার ছিল এটিই।”

“বোলাররা যেভাবে বল করেছে…কখনও কখনও এই ধরনের উইকেটে, যেখানে অনেক সহায়তা আছে, বোলাররা এখানে বেশি লোভী হয়ে উঠতে পারে। তবে আমরা তা হইনি, এটা জরুরি ব্যাপার ছিল। মিরাজ ও পেসাররা দারুণ বোলিং করেছে। যদিও অনেক টার্ন করছিল উইকেটে, এখানেই আমাদের একজন পেসার চার উইকেট নিয়েছে, সে-ই মূলত আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। সব মিলিয়ে তাই খুবই তৃপ্তিদায়ক।”

এএইচএস