ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পাকস্থলীর ক্যানসারে বিবাহিতদের ঝুঁকি কম: গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:২৮ পিএম, ১১ জুলাই ২০২২ সোমবার

কৈশোর কাটিয়ে যুবক-যুবতির কাছে এক ফ্যান্টাসির নাম ‘বিয়ে’। মায়া-বন্ধনের এ জীবনকে কারও কাছে আবার ভেজালও মনে হয়। কথায় আছে, বিয়ে আসলে একটি মতিচুরের লাড্ডু। খেলেও পস্তাবে আর না খেলেও পস্তাবে। তবে গবেষণা যা জানাচ্ছে তাতে বিয়ে না করলে পস্তানোর বিষয়টাই বেশি। 

কী বলছে গবেষণা? 

বিয়ে না করলে না কি পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হ্যাঁ, এমনি তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নাল’ গবেষণায়।

সেখানে বলা হয়েছে, যারা অবিবাহিত বা যাদের জীবনসঙ্গী নেই, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

বিবাহিত হলে ক্যানসার রোগীদের দীর্ঘায়ু পেতে সাহায্য করতে পারে। নতুন গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ৩০০০ গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের দিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। রোগীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ক্যানসারের প্রথমিক পর্যায় আক্রান্ত। 

চীনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ৭২ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও মহিলাদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার ধরা পড়ার পর অবিবাহিতদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষকদের মতে, জীবনসঙ্গী পাশে থাকলে তিনি আপনার খেয়াল রাখতে পারেন। অসুখ হলে ওষুধ খাওয়ানো এবং অন্যান্য সেবা তার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। ফলে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর আচরণ মেনে চলা সহজ হয়। দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য এসব অভ্যাস জরুরি। আর শরীরে কোনও রকম সমস্যা হলে যারা অবিবাহিত বা একা থাকেন তারা ততটাও গুরুত্ব দেন না। আর তাতেই রোগে কাবু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, যারা বিবাহিত তাদের ক্ষেত্রে রোগ আগেই ধরা পড়েছে তাই চিকিৎসা পদ্ধতিও দ্রুত চালু করা সম্ভব হয়েছে। তাই বিবাহিতদের সুস্থতার হারও বেশি। বিবাহিতরা আর্থিক ও মানসিক দুই ক্ষেত্রেই রোগের সঙ্গে লড়াই করার বেশি সামর্থ্য রাখে।

গবেষণায় ধরা পড়েছে, যাদের স্বামী কিংবা স্ত্রী মারা গিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির হার অনেকটাই বেশি। সাধারণ ভাবেই শরীরের প্রতি অযত্ন এর পিছনে বড় কারণ।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/