ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

মালদ্বীপে আশ্রয় পাচ্ছেন না গোতাবায়া, যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

শ্রীলঙ্কার পলাতক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে আশ্রয় দিচ্ছে না মালদ্বীপ। দেশটির সরকার অনতিবিলম্বে তাকে মালদ্বীপ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। আর সে জন্য তিনি মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কলম্বোভিত্তিক ডেইলি মিরর জানায়, দেশের বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সপরিবারে সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপে আশ্রয় নেন গোতাবায়া। এতে তাকে সহায়তা করেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ।

এ খবর প্রকাশের পর মালদ্বীপে প্রবাসী লঙ্কানরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা গোতাবায়াকে শ্রীলঙ্কায় ফেরত দেয়ার দাবি জানাচ্ছেন। গোতাবায়াকে আশ্রয় দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপের বিরোধী দলও। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি৯-এর খবরে বলা হয়েছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় গোতাবায়াকে আশ্রয় দিতে চাচ্ছে না মালদ্বীপ সরকার। আর তাই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মালদ্বীপের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, গোতাবায়া মালদ্বীপকে ‘শুধু ট্রানজিট’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তিনি এখন সিঙ্গাপুর অথবা দুবাই যেতে পারেন বলে জানাচ্ছে সূত্রগুলো।

এদিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উঠতে পারেননি গোতাবায়া।

লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর একটি সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে পরিবর্তে এখন একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ভ্রমণের জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি।

মালদ্বীপের ওই সূত্র জানায়, গোতাবায়া রাজাপাকসে, তাঁর স্ত্রী ইওমা রাজাপাকসে এবং তাঁদের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তার বুধবার রাতে মালে থেকে এসকিউ৪৩৭ (SQ437) ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই উড়োজাহাজে চড়েননি তাঁরা। খবরে বলা হয়, মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ সুরক্ষিত করতে আলোচনা চলছে।

এদিকে, শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের চলমান আন্দোলন থামাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বিক্ষোভকারীদের ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যায়িত করে বুধবার রনিল বিক্রমাসিংহে এ নির্দেশ দেন।

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে রনিল বলেন, “বিক্ষোভ থামাতে এবং শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা দরকার, তাই করুন। আমরা আমাদের সংবিধানকে ছিন্ন করতে পারি না। আমরা ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতা দখল করতে দিতে পারি না। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এই ফ্যাসিবাদী হুমকির অবসান ঘটাতে হবে।”

এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্ষোভকারীদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ভবন ছেড়ে যেতে বলার নির্দেশ দেন।
এসএ/