ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

১০ মাস নিষিদ্ধ হলেন টাইগার পেসার শহিদুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

পেসার শহিদুল ইসলাম

পেসার শহিদুল ইসলাম

ডোপিং নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের পেসার শহিদুল ইসলাম। আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড অনুযায়ী তাকে এই শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

নিজেদের ওয়েবসাইটে সংস্থাটি জানিয়েছে, আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের আর্টিকেল ২.১ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার পর বাংলাদেশের পেসার শহিদুল ইসলামকে ১০০ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

মাত্র একটি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। অপরাধ স্বীকার করার পর শহিদুলকে ১০ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তার ১০ মাসের এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ২৮ মে থেকে কার্যকর হয়েছে, যেদিন তিনি অপরাধ স্বীকার করেছিলেন। যার অর্থ- বাংলাদেশের তরুণ এই পেসার ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকেই খেলার যোগ্য হবেন।

শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে একটিমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া এই পেসার মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেটটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটি জিতে নিয়েছিল।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের হয়ে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য দলের অংশ হিসেবে সফর করেন। কিন্তু কোনো খেলায় অংশ নেননি। শহিদুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সফরের জন্যও বাংলাদেশ টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু সাইড স্ট্রেনের কারণে বাদ পড়েন।

আইসিসি জানায়, শহিদুলের প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করে ক্লোমিফেন পজিটিভ প্রমাণ মেলে। যা বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (WADA)-এর নিষিদ্ধ তালিকার অধীনে একটি নির্দিষ্ট পদার্থ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ। এটি প্রতিযোগিতায় এবং প্রতিযোগিতার বাইরে উভয় স্থানেই নিষিদ্ধ। 

শহিদুল আইসিসির প্রতিযোগিতার বাইরের পরীক্ষামূলক প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে প্রস্রাবের নমুনা সরবরাহ করেছিলেন।

তবে, নিষেধাজ্ঞা পত্র হস্তান্তর করার সময় আইসিসি নিশ্চিত করেছে যে, শহিদুল অসাবধানতাবশত নিষিদ্ধ পদার্থটি একটি ওষুধের আকারে সেবন করেছিলেন। যা তাকে থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে বৈধভাবে দেয়া হয়েছিল। 

শহিদুল আরও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, নিজের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিষিদ্ধ পদার্থটি ব্যবহার করার তার কোনোরকম ইচ্ছা ছিল না।

এনএস//