সাবমেরিন কেবলে বিদ্যুতের ছোঁয়া দুর্গম ৪৭ চরে (ভিডিও)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০১:০১ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২ সোমবার
নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলে বিদ্যুৎ গেছে কুড়িগ্রামের ৪৭টি দুর্গম চরে। কিছুদিন আগেও চরের মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল কুপি আর হ্যারিকেন। এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত চরাঞ্চলগুলোতে লেগেছে উন্নয়নের ছোয়া, খুশি চরবাসীও।
ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমোরসহ ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত কুড়িগ্রাম জেলা। এসব নদীর তলদেশ দিয়ে ২১টি পয়েন্টে সাবমেরিন কেবলে সাড়ে ৪শ’ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন স্থাপিত হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১শ’ ৬৫ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে ৪৭টি দুর্গম চরের প্রায় ১৮ হাজার পরিবার।
চরবাসীরা জানান, “জীবনে ভাবতেও পারেনি এই চর এলাকায় বিদ্যুৎ আসবে। সরকার চর এলাকায় যে বিদ্যুৎ দিয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।”
দুর্গম চরগুলোতে চলে এসেছে ডিসলাইনও। প্রতিটি বাড়িতে টেলিভিশনসহ ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবহার করছেন চরবাসী। একসময় মোবাইল, চার্জার লাইট চার্জ দিতে যাত্রাপুর ও কুড়িগ্রাম শহরে যেতে হতো। এখন তারা বাড়িতে বসেই পাচ্ছেন বিদ্যুতের সকল সুবিধা।
চরবাসীরা আরও জানান, “মোবাইলে চার্জ দিতে অনেক সমস্যা হত, সেই যাত্রাপুর যেতে হয়েছে। একটা মোবাইলে চার্জ ১০ থেকে ২০ টাকাও নিয়েছে। আর এখন সেই টাকা আর লাগছে না।”
যেখানে লাইন টানা সম্ভব হয়নি সেখানেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে সোলার প্যানেলে।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, “কুড়িগ্রাম জেলার ৫০টি চরের ২১টি ক্রসিং পয়েন্টে ৬০ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সরকারি এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে, আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ