ইউপি সদস্যের জিম্মায় থাকা ২০ রোহিঙ্গা পালিয়েছে
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০২ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২ সোমবার
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানো ২০ রোহিঙ্গাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের গাংচিল এলাকায় আটক করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়। সেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে গেছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে কিল্লার বাজার সংলগ্ন নামার বাজারের সেলিম মাঝির ঘর থেকে পালিয়ে যায় রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা পালানোর ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল হক জড়িত বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ বলছে, পলাতক রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এরআগে রোববার রাত ১২টার দিকে গাংচিলের কিল্লার বাজারে ঘুরতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা রোহিঙ্গাদের আটক করে।
আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫ পুরুষ, ৪ নারী ও ১১ জন শিশু ছিল।
জানা গেছে, রোববার রাতে আটককৃত রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে নৌকাযোগে ভাসানচর আশ্রয়ণ থেকে পালিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসে। পথে রাত ১২টার দিকে দালালরা কৌশলে তাদের গাংচিল ঘাটে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে রোহিঙ্গারা কিল্লার বাজারে এসে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করলে স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবগত করে।
পরবর্তীতে আবদুল হক মেম্বারের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সেলিম মাঝি নামের এক ব্যক্তির ঘরে আটককৃত রোহিঙ্গাদের রাখা হয়। সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে আটককৃত ২০ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বলছেন স্থানীয় লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবদুল হক বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির নির্দেশে রোহিঙ্গাদের পুনরায় ভাসানচর পাঠানোর জন্য ট্রলার ভাড়া করতে যাই। ট্রলার ভাড়া করে এসে দেখি রোহিঙ্গারা নেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান রোহিঙ্গা পালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে রোহিঙ্গার পালিয়ে যায়। পুনঃরায় রোহিঙ্গাদের আটক করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ড মেম্বারকে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।
এএইচ