ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ত্বকের ক্যানসারে মৃত্যুর শঙ্কা নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি! কেন?

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২ সোমবার

ত্বকের ক্যানসার নিয়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয়, তাতে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।

ত্বকে মাত্রাতিরিক্ত কোষবৃদ্ধি শুরু হয়। মূলত ত্বকের যে অংশ ঢাকা থাকে না, যেখানে রোদ বেশি লাগে, সেখান থেকেই বাড়তে থাকে ক্যানসার।

ত্বকের ক্যানসার তিন ধরনের হয়। কার্সিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা এবং মেলানোমা। তৃতীয়টির ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ত্বকে যে কোষ থেকে রং হয়, তার নাম মেলানোসাইটেস। সেখানে ক্যানসার হলে একে বলা হয় মেলানোমা। ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের ক্যানসারে নামীদের চেয়ে পুরুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি।

সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, দিন দিন পুরুষদের মধ্যে মেলানোমার আশঙ্কা বাড়ছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ত্বকের ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ।

যদিও কেন পুরুষদের মধ্যে মেলানোমার আশঙ্কা বেশি, তা সে অর্থে জানা যায়নি। কিন্তু কিছু সম্ভাব্য কারণের কথা এ ক্ষেত্রে তুলে ধরছেন বিজ্ঞানীরা।

নারীদের মধ্যে রোদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা বেশি। তা সানস্ক্রিন ব্যবহার হোক কিংবা রোদের মধ্যে হেঁটে যাওয়ার সময়ে ছাতার ব্যবহার সবেরই চল কম ছেলেদের মধ্যে।

মূলত পুরুষদের মধ্যে রোদ থেকে নিজেদের বাঁচানোর প্রবণতার অভাবকেই দায়ী করা হচ্ছে এর জন্য। নারীদের মধ্যে রোদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা বেশি। তা সানস্ক্রিন ব্যবহার হোক কিংবা রোদের মধ্যে হেঁটে যাওয়ার সময়ে ছাতার ব্যবহার সবেরই চল কম ছেলেদের মধ্যে।

আরও একটি কারণ হল, ছেলেদের চামড়া সাধারণত মেয়েদের তুলনায় মোটা হয়। ফলে ত্বকের তলায় মেদের অস্তরণ সব সময়ে থাকে না। তাই সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি সোজা ত্বক ভেদ করে ঢুকে যেতে পারে। এতে ক্ষতি হয় তাড়াতাড়ি।

গবেষণায় আরও একটি বিষয় ধরা পড়েছে। মেয়েদের শরীরে যেহেতু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি, তা-ও অনেকটা সাহায্য করে এ ক্ষেত্রে। কারণ ইস্ট্রোজেন মেলানোমার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আরও একটি বড় বিষয় হল সচেতনতার অভাব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখনও ত্বকের ক্যানসারের উপসর্গ ঠিক বোঝা যায় না। তাই এই ধরনের ক্যানসার যখন ধরা পড়ে, তখন বেশ দেরি হয়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন জায়গায় প্রথমে দেখা দেয় সেই দাগ, যা হয়তো সহজে দেখাই যায় না। কাঁধ, গলায় দাগ বা তিল হলে প্রথমে নজর যায় না।

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এসবি/