বিদ্যুৎ খরচ কমাতে টোটকা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২২ সোমবার
মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, সংসারের হাল সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। শীতের সময় তাও বিলের পরিমাণ একটু কম হতে পারে। কিন্তু বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। অথচ ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই বিদ্যুৎ খরচ কমানো যেতে পারে।
যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। আর তার জন্য ঘরে জানলা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানলা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
লাইটের উপর বিদ্যুতের খরচ অনেকটা নির্ভর করে। কত পাওয়ারের লাইট কিনছেন তাতে কতটা বিদ্যুৎ খরচ হবে জেনে রাখবেন। পারলে সিলিং কিংবা দেওয়ালের লাইট কম ব্যবহার করবেন। টেবিল ল্যাম্পে বেশিরভাগ কাজ সারতে পারেন।
চার্জার, আয়রন, ইন্ডাকশন কিংবা মাইক্রোওয়েভের মতো জিনিস ব্যবহার করার পর প্লাগ লাগিয়ে রাখবেন না। কাজ হয়ে গেলে তা খুলে রেখে দিন।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে রাখুন, তাপমাত্রা যত কমানো হয় কম্প্রেসর তত বেশি কাজ করতে শুরু করে। যার ফলে তুলনামূলক অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই সমস্যা সমাধানে এসি সবসময় ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত। এতে ঠান্ডা হতে বেশ কিছু অতিরিক্ত সময় লাগলেও বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয়।
পুরনো ডেস্কটপের বদলে ল্যাপটপের ব্যবহারে জোর দিন। বিদ্যুতের সাহায্য ছাড়াও কিছুক্ষণ ল্যাপটপ চালাতে পারবেন। সেই সময়টুকু বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
ওয়াশিং মেশিনে গরম পানি ব্যবহার করবেন না। ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলে অনেকটা কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একইভাবে ইস্ত্রি করার আগে জামাকাপড় ভাল করে শুকিয়ে নেবেন। তাতে কম সময়ে কাজ হয়ে যাবে।
টেলিভিশন পুরনো হয়ে গেলে তা বদলে ফেলুন। এখন বিভিন্ন সময়ে এক্সচেঞ্জ অফার পাওয়া যায়। পুরনো টিভিতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এমন সামান্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই বিদ্যুতের বিল অনেকটা কমানো সম্ভব। এরপরও যদি সমস্যা হয় তাহলে বাড়ির ওয়্যারিং সিস্টেম এবং আর্থিং অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানকে দেখিয়ে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ, বিনা কারণে লাইট, ফ্যান, এসি, ফ্রিজ, ইন্ডাকশন, মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে রাখবেন না।
এসবি/